মোঃ নুর হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সন্ত্রাসী নুরনবী মাষ্টার ও তার বাহিনীর হামলায় উক্ত ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমনের পরিবারের ৫ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। গত (১৮ অক্টোবর) শুক্রবার দুপুরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর নুরনবী মাষ্টার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মাহফুজুর রহমান সুমনের বাড়িতে ঢুকে সুমনের মা, বাবা, বড় ভাই, ভাবি ও ভাতিজিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে স্বর্ণ অলংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। পরে তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী নুরনবী মাষ্টার ও তার বাহিনীর লোকজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহতরা হলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমনের বড় ভাই আবুল বাসার, মা রহিমা বেগম, বাবা সৈয়দ আহাম্মদ, ভাবি রুনা আক্তার ও ভাতিজি পিংকি আক্তার। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী মাষ্টার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত সুমনের বড় ভাই আবুল বাসার তার একটি চোখ ও শরীরে একটি অংশ হারাতে বসেছে। এদিকে এই ঘটনায় সুমনের ভাতিজি আহত পিংক আক্তার লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পূর্ব চর মনসা এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমনের বাড়ির পাশে অন্যের জমিতে বন্যার পানিতে বেসে আসা মাছ ধরতে যায় সুমনের বড় ভাই আবুল বাসারসহ অন্যরা। জমি ও মাছ কোনটিই আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী মাষ্টারের না হলেও মাছগুলি তিনি একা ভৌগ করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদেরকে মাছ ধরতে বাঁধ প্রদান করে। এনিয়ে তাদের দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের দরে ঘটনার পরের দিন (১৮অক্টোবর) শুক্রবার দুপুরে সন্ত্রাসী নুরনবী মাষ্টার, তার ছেলে মোহন ও তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমসহ ৫-৬ জনের সন্ত্রাসী দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে বাড়িতে থাকা আবুল বাসার, রহিমা বেগম, সৈয়দ আহাম্মদ, রুনা আক্তার ও পিংকি আক্তারের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা সকলে গুরুতর আহত হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়ে ভাঙচুর ও লাটপাট করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার গুরুতর আহত আবুল বাসারের মেয়ে আহত পিংকি আক্তার বলেন, বন্যার পানিতে বেসে আসা মাছ ও জমি কোনটিই নুরনবী মাষ্টারের না হওয়া শর্তেও শুধুমাত্র ক্ষমতার জোরে মাছের জন্য সে আমাদের পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের পরিবারের ৫ সদস্য গুরুতর আহত হয়। তারা আমাদোর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং আমাদের বসত বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। তাদের হামলায় বর্তমানে আমার বাবা আবুল বাসার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এই ঘটনায় সন্ত্রাসী নুরনবী মাষ্টারসহ জড়িত সকলের বিচার দাবি করছি।