টেকনাফের হোয়াইক্যং তেচ্ছিব্রীজ এলাকায় আম গাছে আগুনের তাপ লাগায় গোলাম আকবর (৪০) প্রকাশ লালু নামের এক দিন মজুরকে পিঠিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে একয় এলাকার নজির আহাম্মদ গং এর বিরুদ্ধে।আহত হওয়ার ৫ দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত গোলাম আকবর প্রকাশ লালু টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল তেচ্ছিব্রীজ এলাকার নুর আহমেদ প্রকাশ নুরু’র ছেলে। সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের হোয়াইক্যং তেচ্ছিব্রীজ এলাকার গোলাম আকবরের নিজ বসত ঘরের ওঠানে এসে স্হানীয় নজির আহাম্মদ গংরা লোহার রড ও গাছের লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক জকম করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে সে হাসপাতালে মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের ছোট ভাই শাহ আলম।
শাহ আলম বলেন, গত সোমবার আমার ভাই চিংড়িঘের থেকে মাছ ধরে এসে তেচ্ছিব্রীজে’র একটি দোকানে বসেন। পরে হোয়াইক্যং তেচ্ছিব্রীজ এলাকার নজির আহমেদ ও নুর আহমদ সহ তার ছেলেরা আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা আমার ভাইকে বললো তোমার বাড়িতে পাতায় আগুন দিছো সে আগুনের তাপে নুর আহমদের গাছে কেনো আগুনের তাপ লাগলো এ বিষয়ে নিয়ে কিছুটা তর্কবিতর্ক হয়। এ কথা শেষ হতে না হতে নজির আহমেদ, নুর আহমেদ ও সোলতান আহমেদ সহ তাদের ছেলেরা আমার ভাইয়ের ওপর লোহার রড-গাছের লাঠি নিয়ে মাথা ও শরীরে বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ভাবে আঘাত করেন। আঘাতের এক পর্যায়ে সে ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি সে মাটিতে পড়ে রয়েছে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোলাম আকবর প্রকাশ লালু মারা যায়। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন,এ ঘটনার বিষয়ে আমরা খবর নিয়েছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে।নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।