🗣️আবু বক্কর চৌধুরী-ঈদগাঁও প্রতিনিধি
গলে ৫ ই নভেম্বর ইসলামপুর ও ইসলামাবাদের দুই ইউনিয়নের ৯ জেলে জীবিকার তাগিদে কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপ সাগরে ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে খোঁজ মিলেনী ৯ জেলের,এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া জানা যায় ইসলামাবাদের পশ্চিম বোয়াল খালী এলাকার দানু মিয়ার ছেলে,আবুতাহের (৪০) তিনি ৩ সন্তানের জনক,মৃত্যু আবুলকাসের ছেলে মোঃ রিয়াদ(৩০)তিনি এক সন্তানের জনক,নুরুল ইসলামের ছেলে,মোঃ ইয়াকুব (২৮)তিনি ২ সন্তানের জনক,ইসলামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বামানকাটা এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে, পারভেজ (৩২) তিনি দুই সন্তানের জনক,মৃত্যু ইলিয়াস মিয়ার ছেলে মো:মুর্শেদ আলম (২৮), সিরাজুল ইসলামের ছেলে,আনোয়ার হোসেন (২৬) মাসুকুর রহমানের ছেলে,ইসমাইল (২৫)মৃত
মুজাহের উদ্দিন ছেলে,হাফেজ আহমেদ( ৬০) জহির আহমেদের ছেলে,জাহেদ (২৮)
আব্দুল ভতনের ছেলে,সাইমুন মিয়া সহ আরো অন্য এলাকার অজ্ঞাত মোট ২১ জন
নিখোঁজদের স্বজনরা জানান,গেল ৫ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয় তারা। ৯ নভেম্বর সাগরের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। ফিশিং ট্রলার ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তারা মুঠোফোনে যোগাযোগ করছে। সেদিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি তাদের সঙ্গে। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটিও নিশ্চিত নন পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ আবু তাহের ও হাফিজুর রহমানের ভাই মোঃ ওসমান জানায়,কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার বাহাদুর মাঝি নামের এক ব্যক্তির ফিশিং ট্রলারে করে ২২ জন জেলে নিয়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়া ছড়া এলাকার থেকে সাগরের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। এর পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ রাখেনি। সকলের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।তিনি আরো বলেন, গেল ১৬/১৭ নভেম্বর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কবলে পড়ছে কিনা সেটিও নিশ্চিত নন। ফিশিং ট্রলারের মালিক বাহাদুরের ছেলে সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করলে সেও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না তার বাবাসহ মাঝি মাল্লারা কোথায় আছে।সেই বিষয়টা জানার পরে স্বজনদের কাছে আরো বেড়ে গেছে আপনজন হারানোর শোকের ছায়া।
আবু তাহেরের মা বলেন,সাগরে রওনা দেওয়ার সময় ফোনে যোগাযোগ করে দোয়া চান ছেলে। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।