সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
joytvnewsbd.com - news@joytvnewsbd.com - www.fb.com/joytvnews.com.official

ঈদযাত্রা হোক নিরাপদ: চবি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক ভাবনা

প্রকাশিত হয়েছে- এপ্রিল ২২, ২০২৩

আধুনিক প্রযুক্তির এই বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এগিয়ে গেছে অনেক দূর। উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে মাসের দূরত্ব দিনে কমে এসেছে, দিনের দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ঘন্টায়। কারণে-অকারণে বড্ড কল্যাণের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিই সময়ে-অসময়ে কখনও আবার হয়ে ওঠে ভয়ংকর, দুর্বিষহ। গাড়ি চালকদের অতৎপরতা, ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ আর যাত্রীদের অসাবধানতায় প্রতিনিয়তই সড়ক-মহাসড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রযুক্তির সহযোগিতায় জীবন সহজ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ক্রমেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠছে আরও অনিরাপদ। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনার কারণ এবং তার সমাধান নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাফছান।

প্রকৌশলগত ত্রুটি অপসারণ ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরিনূসরাত জাহান ঐশী: “ঈদ মানে আনন্দ” – কিন্ত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটি কিঞ্চিৎ ভিন্ন। এর কারণ ঈদ যাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত ভোগান্তি ও ক্রমবর্ধমান সড়ক সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কেবল বেপরোয়া ও মাদকাসক্ত গাড়িচালক, ওভারটেকিং, লাইন্সেন্সবিহীন অদক্ষ ড্রাইভার, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, রাস্তাঘাটের অব্যবস্থাপনা ইত্যাদির উপর দ্বায় চাপালে চলবে না, পথচারী ও যাত্রীদের অসাবধানতায়ও অনেকসময় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, ২০২২ সালে সংগঠিত ৬৭৪৯টি সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৯৯৫১ জন মানুষ, আহত হয়েছেন আরও ১২৩৫৬ জন, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়াও নৌপথ, রেলপথেও দূর্ঘটনাও বাড়ছ প্রতিনিয়ত। কেবল সরকার কিংবা একটা নির্দিষ্ট মহলের পক্ষে এককভাবে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়, তাই দুর্ঘটনা এড়াতে নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।

সর্বসাধারণের সচেতনতায় কমবে সড়ক দুর্ঘটনা

প্রত্যুৎ দেবনাথ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতিবছর বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিশ্বব্যাংক এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের মোট যানবাহনের ০.৫% বাংলাদেশে থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার জন মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। সড়কগুলোতে ক্রমবর্ধমান দুর্ঘটনায় হাজারও মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রতিবছর জিডিপির ২-৩% ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার একটি প্রধান কারণ চালকের বেপরোয়া গতি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক, ফ্লাইওভার ও ওভারপাস নির্মাণ এবং গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডব্রেকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অত্যন্ত জরুরি। সর্বোপরি, সর্বসাধারণের সচেতনতা এই অভিশাপের প্রতিবন্ধক হয়ে উঠবে। ২০১৭ সালে ঘোষিত নিরাপদ সড়ক দিবসকে (২২ অক্টোবর) ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মত সচেতন মানসিকতার স্ফুলিঙ্গ’ই পারে সড়ক দুর্ঘটনার কড়ালগ্রাস থেকে আমাদের বাঁচাতে।