কক্সবাজারের লিংকরোডে যুব লীগের সন্ত্রাসী মুবিনুল হক ও তার পুত্র ছাত্রলীগের ক্যাডার শরীফ হোসেনের নেতৃত্বে জমি দখল,অবৈধ বালি উত্তলন থেকে শুরু করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাও রয়েছে একটি। যার মামলা নং ১৩২৭।জানা যায়, স্থানীয় মুবিনুল হক ও তার পুত্র শরীফ হোসেন এলাকার চিহ্নিত দুষ্ট,প্রকৃতির লোক। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায়,জায়গা দখল,অবৈধ বালি উত্তলন থেকে শুরু করে নিরীহ লোকজনের জায়গা জমি জোর পূর্বক দখল, চাঁদাবাজি, বাকঁখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি নানা অপকর্ম করে আসছে। এ বিষয় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা লিংক রোড়ে নিরীহ বাসিন্দা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (অব:) উপসহকারী প্রকৌশলী ডা. আবদুর রশীদের দীর্ঘ দিনের ৫৫/৫৬বছরের ভোগদখলীয় জমিটি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । সরকারি খাস জায়গায় আবদুর রশিদের পরিবার ২৩৫৪৭ নং দাগের ১নং খাস খতিয়ানে বসবাস করে আসছে। যা বিগত ১৯৯৯ সালে সরকারি খাস জমির বন্দোবস্তের নীতিমালা অনুযায়ী লিজের আবেদন করলে তা ভূমি ও তহসিল অফিসের চূড়ান্ত দখলে থাকার অনুকূল তদন্ত রিপোর্ট সহ চূড়ান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যা দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত মামলা নং ৫২/৯৯-২০০০ সৃজন করে। যার স্মারক নং ১২.৪১৫/১১২৬/খাভূত, সদর তাং ১৪/১২/১৯৯৯ইং। আর অপরদিকে মুবিনুল হকের নামে সৃজিত খতিয়ান ৮৬৭৯ বি.এস দাগ নং ২৩৫৩৭ দাগের জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে অধিগ্রহণকৃত এবং ঐ দাগের সকল জমি সড়কে ও ফুটপাতে পতিত। আবদুর রশীদ ও তাহার পুত্রগন এলাকায় সুপরিচিত এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে মানবসেবায় অধ্যাবদি নিয়োজিত আছে। উক্ত বসত ভিটায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ১৯৬৯ ইং হতে বসবাস করে আসছে। ঐ জমিতে কারোও কোন দাবি বা স্বত্ব ছিল না। অপরদিকে জায়গা জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে মুবিনুল হক ও তার পুত্র শরীফ ও আশেক সন্ত্রাসী কায়দায় উক্ত জমি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে উন্মত্ত হায়েনার মত উঠেপরে লেগেছে। শরীফ হোসেন সিকদার ককসবাজার সরকারি কলেজের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাধারন শিক্ষার্থীদের অত্যাচার, হামলা, মারধর ও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ছত্রছায়ায় সাধারন শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার পিতাও একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, যুবলীগের চিহ্নিত মাস্তান, ভূমি দস্যু ও বাকঁখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ দূষণ করে একাধিক বার মামলা ও জরিমানা গুনতে বাধ্য হয়েছিল। তদুপরি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নামে ১৯৫৪-৫৫সালে অধিগ্রহণ কৃত আর.এস৬৭০১,৬৭০২,৬৭০৩,৬৭০৪,৬৭০৫, দাগের অনুকূলে বি.এস ২৩৫৩৭ দাগ নং এর সৃজিত ৮৬৭৯ বি.এস খতিয়ানে ৫ শতক জমি মুবিনুল হকের নামে খতিয়ান ভুক্ত করেছে যা সম্পূর্ন বেআইনি ও বিধি বহির্ভূত। যাহা ভূমি অফিসের কতিপয় দূর্নীতি বাজ কর্মচারীর সহায়তায় সড়ক বিভাগের অনুকূলে স্পষ্ট গেজেট প্রচারিত থাকার পর ও ফ্যাসিস্ট দুর্নীতি বাজ আওয়ামী দলীয় সরকারের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে উক্ত ভুয়া, জ্বাল দলিল ও খতিয়ান সৃজন করার প্রয়াস পায়। এমতাবস্থায় প্রশাসনের কাছে ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ঐ সকল ভূমি দস্যু দের সরকারি অধিগ্রহণ কৃত জমির উপর সৃজিত জ্বাল দলিল, খতিয়ান অবিলম্বে জব্দ করে আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।