আল আমিন হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের প্রবাসী আব্বাস মল্লিকের বাড়ীতে গত রাত ১১ টায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী মোছাঃ ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে কালুখালী থানায় একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাঝেমধ্যেই আমাদেরকে হুমকি ধামকি প্রদান করিত। বিবাদীগণ শাকিল মিয়া, সুবাহান মিয়া, সামিম মিয়া, ও তাদের বাবা মকবুল মিয়া ও আক্কাক মিয়া, আব্বাস মিয়া, খোকন মিয়া, টোকন মিয়া, ছোটন মিয়া উভয়ের পিতা মৃত উইনুস মিয়া সবারই বাড়ী একই উপজেলার একই ইউনিয়নের একই গ্রামে। গত ২১ জুলাই রাত আনুমানিক ১১ টার সময় উক্ত বিবাদীগণ আমার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। আমি বাধা প্রদান করিলে আমাকে লাথি মারিয়ে ফেলে দেয়। আমি এবং আমার মেয়ে মোছাঃ সামিয়া আক্তার এর গলায় দেশীয় অস্ত্র ধরে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং প্রায় ২ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। বিবাদীগণ বলেন এই বিষয় নিয়ে যদি আইনের আশ্রয় নিস তাহলে তোকে এবং তোর পরিবারের সকলকে প্রাণে মারিয়া ফেলিবো বলে প্রাণ নাসের হুমকি প্রদান করে। বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্র ধারা আমার ঘরের টিন এবং আসবাশ পত্র ক্ষতি করে এবং চলে যাওয়ার সময় একটি দেশীয় রামদা ফেলে যায়। এমত অবস্থায় আমি আশঙ্কা করিতেছি যে বিবাদীগণ আমার পরিবারের আরো বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে। তাই আমি আমার পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইল।
সরজমিনে গেলে প্রতিবেশী শাহাদাত মোল্লা বলেন, রাতে হঠাৎ করে দেখি সাত থেকে আট জন মানুষ সবার হাতেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই বাড়ির দিকে আসছে। রাতে ভয় পেয়ে আমরা তখন এ বাড়িতে আসেনি। দূর থেকে টিনের উপর কুপানোর শব্দ শুনতে পাসছিলাম। একটু পরে তারা বের হয়ে পাট ক্ষেতের মধ্য দিয়ে চলে গেল। তখন এই বাড়িতে এসে দেখি ঘরের বেড়া এবং দরজা ভেঙে ফেলেছে। শুনেছি সোনা ও টাকা-পয়সাও নিয়ে গেছে।
প্রতিবেশী ফাতেমা খাতুন বলেন, আমরা এই বাড়ির বউয়ের চিৎকার শুনে এসে দেখি, দরজা ভাঙ্গা ঘরের বাক্সের তালা ভেঙে কাপড় চোপড় সবকিছু বাইরে হারানো ছিটানো। এই বাড়িতে এই বউ একাই থাকে। একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে আছে। ছেলেটা গতরাতে তার নানার বাড়িতে ছিল।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এই বিষয়ে থানা একটি অভিযোগ হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।