চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামী মো. ফয়সালকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভোর ৪টার দিকে হালিশহর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।আটককৃত ফয়সাল নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার মো. নূর নবীর পুত্র।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৮ মে সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়তলীতে বেধড়ক পিটুনি ও ছুরিকাঘাত করে মাসুম ও সজীব নামের দুই যুবককে খুন করে ফয়সাল ও রবিউল বাহিনী। এঘটনার প্রধান আসামি ফয়সালকে হালিশহর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামি ফয়সাল খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। খুনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফয়সাল জানায়, মাসুমের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম শিহাব তার বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যায়। ওই সময় শিহাবকে উদ্দেশ্য করে ফয়সাল ও রবিউল বলে, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে তোকে মানায়নি’ এবং মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারামারিও হয়। ওইসময় ফয়সাল ও রবিউলরা আঘাত পেয়ে বিষয়টি ইলিয়াছ মিঠুকে জানায়। রাত ৮টার দিকে সিরাজুল ইসলাম শিহাবকে ফোন করে ইলিয়াস বলে, বিষয়টি মীমংসা করতে তার অফিসে আসতে হবে। কথামতো শিহাবের সাথে বন্ধু মাসুম, সজীব, ফাহিম, রোকন, রজিন, তুহীন, মেহেদী হাসান, ইউসুফ ও প্রান্তসহ ইলিয়াসের অফিসে যায়। সেখানে আগে থেকেই ইলিয়াসের নির্দেশে ও ফয়সালের পূর্বপরিকল্পনায় রবিউলসহ প্রায় ২০-২৫ জন কিশোর দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মাসুম ও সজীবকে খুন করা হয়।
আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।