নুরুল ইসলাম, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার সদর ইউনিয়নের খুরুশকুল কুলিয়া পাড়া প্রধান সড়কে প্রতিদিন লক্ষ মানুষের যাতায়াত। ব্যস্তময় রাস্তাটিতে কুলিয়া পাড়া এলাকার কিছু অসাধু মানুষ টয়লেট ও ব্যবহার করা পানি রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী করে তুলেছে। এলাকার কারো কথা পরোয়া না করে তারা গায়ের জোরে রাস্তায় ময়লা পানি ছেড়ে দিচ্ছে। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ির কারণে ময়লা পানি পড়ে মানুষকে অপবিত্র করে দিচ্ছে এবং দূর্ঘটনার কারণ হচ্ছে এসব ময়লা পানি। সন্ধ্যা ও ফজরের সময় এইসব ময়লা পানি ছেড়ে দেই এবং সারাদিন বাথরুমের ব্যবহার করা পানি ছেড়ে দেই। এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে এলাকায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবহিত করলেও তারা এসব বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের কথাও পরোয়া না করে রাস্তায় ময়লা পানি ছেড়ে দিচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব শাহাজাহান ছিদ্দিকী উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের অনুদানের টাকায় ড্রেইনের ব্যবস্থা করলেও ড্রেইনের মাঝে মাঝে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়ায় ড্রেইন দিয়ে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এসব ময়লা পানি রাস্তার দুপাশ ও রাস্তায় জমাট বদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে এবং চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কিন্তু উপায় না থাকায় বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে এসব ময়লা পানির উপর দিয়ে।রাস্তায় ময়লা পানি জমাট বদ্ধ হয়ে থাকায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে চলাচলকারীরা। খুরুশকুল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইসমাইল সোহেল বলেন, তারা পানি নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টার কমতি রাখেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এমপি সহ সকলকে এ ব্যাপারে অবহিত করেছি। কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি। তিনি আরও বলেন এটা সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে হওয়ায় তাদের কোন করার নেই। এই বিষয়ে খুরুশকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাহান ছিদ্দিক বলেন, ভোটের পরে কাজ করে দেওয়া হবে কিন্তু আদোও কোন পদক্ষেপ নেই।এউ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসাকে অবহিত করলে তিনি দেখার প্রতিশ্রুত দিলেও কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।স্থানীয় মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা কবলে পড়ছে যাতায়াতকারী লক্ষাধিক মানুষ। কিন্তু দেখার কেই নেই। সাধারণ মানুষের মতে কখন নড়বে প্রশাসনের টনক? জীবন কেড়ে নেওয়া পর্যন্ত কি কোন পদক্ষেপ নেবে না প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।