কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপালগঞ্জ শহরের এলজিআরডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেপ্তারের নিশ্চিত করে জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার ১৬ নং আসামি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে শহরের এলজিআরডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে জেলা ডিবি টিম উপস্থিত ছিলেন।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরবর্তীতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রীসহ বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের জন্য গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহরটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। এছাড়াও এস এম জিলানী, তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা রত্নাসহ অন্তত ৩৫ জন দলীয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।
শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও এক হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।