রাজশাহীর একটি অপারেশন দল ০৭ জুন ২০২৪ তারিখ রাত্রী – ০৮.৩০ ঘটিকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কোদালকাটি ভাড়পাড়া নামক এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে আসামী ১। মোছাঃ শাহানাজ বেগম (৪৮), স্বামীঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বর্তমান সাং-কোদালকাটি ভাড়পাড়া, পূর্ব সাং-কোদালকাটি গাইনাপাড়া (যে পাড়াটি বর্তমানে পদ্মা নদী ভাঙ্গনে বিলীন), থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ‘কে গ্রেফতার করা হয় এবং হেরোইন-৪০০ গ্রাম ও নগদ=১৩,০০০/-টাকা উদ্ধার করা হয়। র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কোদালকাটি ভাড়পাড়া গ্রামস্থ সীমান্তবর্তী দূর্গম পদ্মার চরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী নিজ বসতবাড়িতে অবৈধ মাদকদ্রব্য মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে র্যা বের গোয়েন্দা দল আসামীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে। অদ্য ০৭ জুন ২০২৪ তারিখে একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে ধৃত আসামীর নিকট হতে ৪০০ গ্রাম অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন এবং নগদ ১৩,০০০/-টাকা উদ্ধার করা হয় এবং অপর আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম পিতা-মৃত তৈয়ব আলী মন্ডল বর্তমান সাং-কোদালকাটি ভাড়পাড়া, পূর্ব সাং-কোদালকাটি গাইনাপাড়া (যে পাড়াটি বর্তমানে পদ্মা নদী ভাঙ্গনে বিলীন), থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। ধৃত আসামী ও পলাতক আসামী সম্পর্কে স্বামী ও স্ত্রী। তারা পারিবারিক ভাবেই দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বসতবাড়ী দুর্গম এলাকায় হওয়ায় সহজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক অজ্ঞাত স্থান হতে সংগ্রহ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।