নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ ২১ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ভোট বর্জনের আন্দোলন ফের শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি।সবাইকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। যদি কেউ সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাহলে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে৷ দলীয় এমন কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও তা মানছে না ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বহিষ্কৃত জনির পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মাহমুদ, শওকত আলম শওকত,আব্দুস সালাম সহ প্রমুখ বিএনপি নেতাকর্মী। ২৩ এপ্রিল জালালাবাদ ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মাহমুদ বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজলের নির্দেশনায় বিএনপি পরিবার নির্বাচনে জনির পক্ষে কাজ করছে। এ-সময় তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘বহিষ্কার তহিস্কার করে কাজ হবে না৷ যদি জনির বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হয় এবং আর কাউকে বহিষ্কার করে তাহলে ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপি একযোগে তৃণমূল বিএনপি-তে যোগদান করবে’৷ এসময় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আনিছুর রহমান, শফিউল আলম শান্ত,নোমান,সাজ্জাদ সহ অসংখ্য নেতাকর্মী। এবিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সিনিয়র এক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মীর আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ৷ তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি বরাবর সুপারিশ করবে জেলা বিএনপি।