প্রতিবেদক: ইরফান বাবুল
মুসলিম মেয়েকে ধর্মাবলম্বী করে বিয়ে, মা ও ছেলে আটক হয়েছে বলে এই খবর পাওয়া গেছে।
লিজা আক্তার (১৮) নামে এক মুসলিম মেয়েকে জোরপূর্বক মুসলমান থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিবাহ করার অভিযোগ উঠেছে নেপাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হলে নেপাল ও তার মা রাধা রানীকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১২ মে) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১০ মে রাতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদার।ভুক্তভোগী মোসাঃ লিজা আক্তার গাইবান্দা জেলার ফুলঝুরি থানার পশ্চিম ডাকাতিয়ার চর এলাকায় মোহাম্মদ আশ্রাফ আলী মুসুল্লীর মেয়ে। অভিযুক্তরা হলো পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের মৃত নিরঞ্জন শীলের ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল (২৫) ও তার মা রাধা রানী ও বোন হাসি।
ভুক্তভোগী লিজা বলেন, ঢাকার গাজীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি। সেখানে বসে হাসির সাথে পরিচয় গড়ে উঠে। হাসি নানা ভাবে প্রলোভনে গত ৮মে পাথরঘাটায় তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে। এরপর হাসি, তার মা রাঁধা রানি ও নেপাল বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও মারধর করে ১০মে বেলা আনুমানিক দুইটার দিকে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুরোহিতের মাধ্যমে জোর করে মৌখিকভাবে হিন্দু বানিয়ে নেপালের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
পরে তাদের বাড়িতে নিয়ে লিজার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাতে শাঁখা ও মাথায় সিঁদুর পরিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে । এরপর বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে নেপালের বাড়ি থেকে পালিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আল আমিন জানান , নেপাল বিবাহের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল। বিবাহ না দেয়ায় গত ৭জুন বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করে জেলে যায় নেপাল। জামিনে এসে তার মা ও বোনের সহায়তায় এই কান্ড ঘটিয়েছে।
পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, নেপালের বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি ও চুরির মামলা রয়েছে। এছাড়াও হাসির বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। লিজার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ, ধর্মান্বিত, ধর্ষণ ও মারধরের কারণে মামলা হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম হাওলাদার জানান, লিজা আক্তার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাউল গান পরিবেশন করে। হাসির প্ররোচনায় সে পাথরঘাটায় বেড়াতে এসেছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে মা ও ছেলেকে আটক করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।