সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
joytvnewsbd.com - news@joytvnewsbd.com - www.fb.com/joytvnews.com.official

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পরে আব্দুল্লা (৬) বছরের ১ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রকাশিত হয়েছে- ডিসেম্বর ৬, ২০২৩

মোঃ আশরাফুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ-

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের কৃষ্টপুর গ্রামে এ আব্দুল্লা (৬) নামে ১শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। আব্দুল্লা ঐ এলাকার মাসুদ আলির ছেলে।এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারসহ ঐ এলাকায় শোক চলছে, শিশুটির মৃত্যুতে আর্তনাদে ফেটে পড়ছেন শিশুটির মা সহ আত্মীয় স্বজনেরা।

তবে ঘটনাটি নিয়ে ঐ এলাকায় নানা রহস্য নিয়ে ঘোরপাক খাচ্ছে।

এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, গত রবিবার সকাল ১১ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি আব্দুল্লা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়া গেলে ঐ দিনই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি নিখোঁজের জিটি করে আব্দুল্লার বাবা মাসুদ। আজ মঙ্গলবার সকালে শিশুটির দাদা পুকুর পাড়ে শিশুটির ভাসমান লাশ দেখতে পায়। পরে অর্ধগলিত শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর সূত্রে আরো জানা যায়, শিশুটির বাবা মাসুদের সাথে রুনা বেগমের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া ও ঝামেলা চলাকালীন মামলা মোকদ্দমায় জরিয়ে পড়ে তারা। এ নিয়ে অনেক বার বার বিচার শালিসে বসেও সমাধান হয়নি তাদের। এক পর্যায়ে ২০২১ সালে তাদের ডিভোর্স হয়ে সন্তানটি মায়ের কাছে ছিল। গত শনিবার শিশুটির দাদা মতিউর রহমান রুনা বেগমের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী থেকে আব্দুল্লাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আব্দুল্লা। এ নিয়ে রুনা আক্তার ঐদিনই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৫ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শিশুটিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও না পেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় শিশুটির বাবা মাসুদ একটি লিখিত হারানো জিটি করে।

ঐ গ্রামের ব্যক্তি বলেন, ঐ পুকুরটিতে মাত্র ১ থেকে ২ শতক জুরে পানি আছে তার পরিমাণ হাটুর সমান। যদি শিশুটি ঐ পুকুরে রবিবার ডুবে মারা যায় তাহলে সোমবার ঐ পুকুরে আমরা সবাই এতো খোঁজাখুঁজির পরেও কেন তার লাশ পাওয়া গেলনা? আবার মঙ্গলবার পাওয়া গেল তাও আবার অর্ধেক শরীর পানিতে আর অর্ধেক শরীর ডাঙ্গায়। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যময় মনে করছি। প্রশাসন যদি দুই পক্ষকেই ভালোমতো জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিকভাবে তদন্ত করে তাহলে হয়তো এই রহস্যের আসল ঘটনা প্রকাশ হবে বলে জানান তারা।

এদিকে শিশুটির মা রুনা আক্তার তার প্রাক্তন স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ কয়েকজনের উপরে অভিযোগ এনে বলেন, আমার ছেলেকে ওর দাদা মতিউর রহমান জোর করে আমার অজান্তেই তাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। তারা ইচ্ছে করেই আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অন্যদিকে এ ঘটনা সম্পূর্ণ অশ্বিকার করেন শিশুটির বাবার পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির মুঠোফোনে জানান, আমরা অবগত আছি ইতোমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আনা হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।