পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভাই বোনের সম্পদ জালিয়াতি করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে অপর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ বাজারের মৃত মতিয়ার রহমান প্রধানের রয়েছে ৯ ছেলে ৭ মেয়ে। মতিয়ার রহমান মারা যাওয়ার পর ভাউলাগঞ্জ বাজারের পৈতৃক নিবাস সংলগ্ন নগর ভাউলাগঞ্জ মৌজার ৬৫০ নাম্বার দাগে ১ একর ৬৬ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে মতিয়ার রহমান প্রধানের স্ত্রী শরিফা বেগম প্রধানের ২০ শতক, ৭ বোনের প্রত্যেকেই ২ শতক করে ৪২ শতক আর ৮ ভাইয়ের ১২ শতক করে ৯৬ শতক জমি পাবে। ওয়ারিশগন জানান, আমাদের প্রত্যেকের অংশের জমি এখন পর্যন্ত বন্টন করা হয়নি। ১ একর ৬৬ শতক জমির মধ্যে বাড়ির রাস্তার জন্য ৮ শতক জমি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মৃত মতিয়ার রহমান প্রধানের মেয়ে ফজিলাতুন নেছা প্রধান জানান, আমার বাবা মৃত মতিয়ার রহমান প্রধান ভাউলাগঞ্জ বাজারের পার্শ্বে বাড়ীর সাথে লাগানো ১ একর ৫৮ শতক জমি রেখে যান। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই নজরুল ইসলাম প্রধান নজু ১ একর ৫৮ শতক জমির মধ্যে বন্টন অনুযায়ী সে অংশ পাবে ১১ শতক এবং মায়ের হেবা সুত্রে পাবে ২০ শতক। তার পুরো অংশ মিলে জমি রয়েছে ৩১ শতক। কিন্তু ৬৫০ নম্বর দাগে নজরুল ইসলাম প্রধান নজু বিক্রি করেছে ৩৩ শতক। তার মধ্যে মাহমুদ এর কাছে ১০ শতক, জাদু গং এর নিকট ৫ শতক, স্বাধীনের নিকট ৪ শতক, মসজিদের জন্য ২ শতক, আশিকুরের নিকট ২ শতক, মার্কেটের জন্য ৫ শতক, সোহেলের কাছে ৫ শতক বিক্রি করেছে। নজরুল ইসলাম প্রধান নজু পৈতৃক সুত্রের ১১ শতক, মায়ের হেবা সুত্রের ২০ শতক ছাড়াও অতিরিক্ত ১৩ শতক জমি দাবি করছে। কিন্ত তার অংশের ৩১ শতকের মধ্যে সে বিক্রি করেছে ৩৩ শতক। অতিরিক্ত বিক্রি করেছে ২ শতক। তবে নজরুল ইসলাম প্রধান নজু জানান, আমার অংশের জমি এখানে রয়েছে। সে অংশ হতেই আমি বিক্রি করেছি। এখানে ক্রেতা আর বিক্রেতার কোন সমস্যা নাই। তবে অতিরিক্ত ১২ শতক জমির ক্রেতা মানিক হোসেন জানান, আমি ১২ শতক জমি ৩৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছি। নজরুল ইসলাম প্রধান নজুর কাছ থেকে কেনা জমির আমি এখনো দখল পাইনি। মোস্তফা রহমান নামের এক ব্যক্তি জানান, নজরুল ইসলাম প্রধান নজু একজন ভূমি দস্যু। সে নিজের অংশের জমি ছাড়াও ভাই বোনের অংশের হতে জমি বিক্রি করে দিয়েছে। আজাহারুল ইসলাম জাদু জানান, আমার ভাই নজরুল ইসলাম প্রধান নজু তার অংশের জমির চেয়ে অতিরিক্ত জমি বিক্রি করে দিয়ে আমাদের অংশ দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সে একজন ভূমি দস্যু। সে নামে বেনামে জমি বিক্রি করে মানুষকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে। আমি আমার জমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু সে তার অংশের জমি আমাকে এখনো ছেড়ে দেয়নি। এখনও দখল করে রেখেছে। চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, বিক্রি করা জমি দখল করার জন্য ক্রেতারা আসে কিনে নেয়া জমি দখল করার জন্য। এতে অংশীদারেরা বাধা দেয়। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সাথেই জায়গা জমি নিয়ে গন্ডগোল দেখা দেয়ায় পরিষদ থেকে বের হয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করি। দুই পক্ষ কে যার যার কাগজ পত্র নিয়ে আসতে বলি। কাগজ পত্র দেখে জমির অংশের সুষ্ঠ বন্টন করে দিবো।কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব কাগজপত্র ও সার্ভেয়ার এর খরচাপাতি জমা চাইলে খরচাপাতির টাকা,আজাহারুল ইসলাম যাদু প্রধান ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেন ,, বেশ কিছু দিন কেটে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তা সুষ্ঠু ভাবে কোনো প্রকার সমাধান দেননি বলে জানিয়েছেন আজাহারুল ইসলাম যাদু প্রধান,,অপর দিকে নজরুল ইসলাম নজু প্রধান যে দাগে জমি মানিক হোসেনের কাছে বিক্রি করেছেন,সেই জমি আজাহারুল ইসলাম যাদু প্রধানের গং এর দখলে ছিল,, গত ০৫-০৬-২০২৪ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১২.০০ টার দিকে মানিক হোসেন আজাহারুল ইসলাম যাদু প্রধানের মার্কেটের দোকান ঘরের ওয়াল ভেঙে সেই জায়গায় জোর করে মাটি ফেলেছে,, পরে আজাহারুল ইসলাম যাদু প্রধান গং সঠিক বিচারের দাবিতে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দেবীগঞ্জ থানায় পৃথক ভাবে অভিযোগ এবং এজাহার জমা দেন,,এই বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইকতেখারুল মোকাদ্দেম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনেছি এবং একটি অভিযোগ পেয়েছি, সঠিক ভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে,,