গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ বৃহস্পতিবার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক এ “জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে গরু চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত সকল তথ্য উপাত্তসমূহ মিথ্যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। যার বিস্তারিত সত্যতা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পদ পাওয়ার পর থেকে ১৪সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির কয়েকজন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। পদ পাওয়ার পর থেকে বিগত সময়গুলোতে একাধিকবার ভিত্তিহীণ অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে আসছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো।
পর্যটক ধর্ষণে আমার অনুসারী এক ছাত্রলীগের কর্মী জড়িত থাকার শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয়। তার কিছুদিন পর সেই ১৪জনের একজনের সাথে অভিযুক্তকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায়। পরে প্রাশাসনিক সকল অনুসন্ধানের পর উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছিল।
একইভাবে গত ২৮আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১০হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগদানের প্রাক্কালে উক্ত আয়োজনকে বিনষ্ট করতে আমার নাম পরিচয় দিয়ে (০১৯৪২৬৩৫৫৯১) উক্ত নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। এব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি ও জানাই। একই ঘটনা পরে ১৫জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখ গরীব মানুষদের শাড়ি ও লুঙ্গি প্রদানের জন্য সহযোগিতা চেয়ে (০১৭০৯৮৪৭৮৯৪) উক্ত নম্বর থেকে চাঁদা চাওয়া হয়।
এরপর আমাকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবৈধ মালামাল নিয়ে প্রবেশের সময় এপিবিএন গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে বলে একটি ভিডিও এডিট করে গণমাধ্যমসহ বিভিন্নমহলে ওয়াটসআ্যাপে ফরওয়ার্ড করে বিভ্রান্তির চেষ্টা করেন। যার প্রমাণাদি আমার হাতে রয়েছে।
এছাড়া আমাকে বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলানোর জন্য আমার গাড়ির লাইসেন্স নম্বরসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন ডকুমেন্টস চাওয়ার একটি মেসেজ এবং গোপন ফোনালাপ করেন তারা। সেই প্রমাণাদি ও আমার হাতে রয়েছে।
এছাড়া আমাকে নারী কেলেঙ্কারীতে ফাসানোর জন্য কক্সবাজারের জোয়ারিয়ানালার একজন বেপরোয়া নারীকে দিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে উল্টো নিজে ঐ নারীর সাথে হোটেলে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় এবং দীর্ঘরাত সময় কাটান তিনি। তার যথাযথ প্রমাণ আমার হাতে রয়েছে।
তাদের একজনকে একাধিকসময় মদ ও জোয়ার আসরে সময় কাটাতে দেখা যায়। যার স্থিরচিত্র এবং ধারণকৃত ভিডিও আমার হাতে রয়েছে।
এবং সর্বশেষ আমাকে গরু চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ তুলে তাদেরই মালিকানাধীন একটি স্থানীয় পত্রিকা এবং জাতীয় পত্রিকায় ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে। গরু চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি মিথ্যে এবং থাকলে প্রমাণ করার ব্যাপারে অনেক আগেই আমি সংবাদ মাধ্যমসহ নানাভাবে জানিয়েছি। এরপরো একই অভিযোগ পুনরায় তোলে আমার মান হানীর চেষ্টা করে আসছে তারা।
এপর্যন্ত যেসকল অভিযোগসমূহ আমার ব্যাপারে উত্থাপন করা হয় তার সাথে আমার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ আদৌ পায়নি৷ সুতরাং উক্ত সংবাদসহ নানাসময়ে প্রচারিত সংবাদসমূহ মিথ্যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীণ বলে তার তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক এবং কালবেলা পত্রিকায় যথাযথ তদন্তপূর্বক ইতিবাচক এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
সেই সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মানিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বরাবর বিনীত অনুরোধ যারা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে সংগঠনকে কলুষিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
এস.এম.সাদ্দাম হোসাইন
সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা শাখা।