আল আমিন হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি।
হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল চত্রা নদীর উপরে। যাতায়াতের সুবিধা পেয়েছিল হাজারো মানুষ। কিন্তু এখন সেই ব্রিজটি পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে যানবাহন ও মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত আরেকটি নতুন ব্রিজ করে দেওয়ার।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলি গ্রামের চত্রা নদীর উপরে অবস্থিত এই ব্রিজটি। ব্রিজটি অনেক সরু একটি ভ্যান উঠলে আরেকজন মানুষ হেটে যাওয়া যায়না। কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের পারাপারের একমাত্র এই ব্রিজটিও ভেঙে গেছে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান মুন্সী বলেন, জন্মের পর থেকে দেখেছি এখানে মানুষ খেয়া বা নৌকা দিয়ে পারাপার হতো। স্বাধীনতার কয়েক বছর পর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন ব্রিজটির এমন অবস্থা বড় একটি গাড়ি উঠলে থরথর করে কাপে যেন এখনই ভেঙে পড়ে যাবে। তাই প্রশাসনের কাছে এখানে নতুন আরেকটি ব্রিজের দাবি জানাই।
এই ব্রিজ দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী কৃষক লোকমান সরদার জানান, এই ব্রিজটি পার হয়ে বাগদুলি হাটে যেতে হয় কৃষি পণ্য বিক্রি করার জন্য। এখন গাড়ি বোঝাই মালামাল নিয়ে ব্রিজে উঠতে ভয় করে কোন সময় জানি ভেঙে পড়ে যায়।
ভ্যান চালক বকুল মিয়া বলেন, এই ব্রিজে দুটি ভ্যান একসাথে যাতায়াত করতে পারে না ব্রিজের উপরে একটা ভ্যান উঠলে আরেকটি ভ্যান সিরিয়াল দিয়ে ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রাস্তা থেকে ব্রিজ উঁচু হওয়ায় অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের। যদিও কষ্ট করে যাতায়াত করতাম এবার এমন অবস্থা, যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙে নদীর মধ্যে পড়ে যাবে। এখানে নতুন একটি ব্রিজ খুবই দরকার।
মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ প্রামানিক বলেন, আমি এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি । আপাতত যাতায়াতের জন্য বাঁশ দিয়ে মেরামত করে দিয়েছি।
উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হাসান জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি জেলা স্যারের সাথে কথা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করে দেওয়া হবে। এখানে নতুন ব্রিজ দেয়া হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান আমাদের বাজেট নেই।