আল আমিন হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়ে স্ত্রী হারানোর শোকে প্রায় পাগল হয়ে যায় এক যুবক। পরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আজ সোমবার (১৮ই মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে যুবকের নিজ বাড়ীতে গরুর ঘরের ডাপের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যাকারী ওই যুবক হলেন, পাংশা উপজেলার কুলিমহর ইউনিয়নের ফলিমারা গ্রামের মোঃ হামিদ মোল্লার ছেলে মোঃ নায়েব আলী মোল্লা। স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ১৩ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন নায়েব আলী। তাদের সংসার ভালোই চলছিল। তাদের ঘরে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তবে গত এক বছর আগে তার স্ত্রীর অন্য ছেলের সাথে পরকীয়ার খবর জানাজানি হলে সংসারে নেমে আসে অশান্তি। সুখের সংসার আর সুখের থাকে না, পরে স্ত্রী অভিমান করে গলায় রশি নিয়ে আত্মহত্যা করে। তারপর থেকেই নায়েব আলী কিছুটা পাগল প্রকৃতির হয়ে যায়। উদাসীনভাবে চলতে থাকে এলাকায়। পরিবারের লোকজন মনে করে আরেকটি বিবাহ করালে নায়েব আলী ভালো হয়ে যাবে। আরেকটি বিবাহও করানো হয় কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী কিছুদিন পরেই তার ভাত খাবে না বলে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে নায়েব আলী। আজ সকালে তার বাড়িতে গরুর ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, সকালে শুনতে পাই পাংশার কলিমহরে নায়েব আলী নামের এক যুবক গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। আমরা লাশ দেখেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।