রেললাইন অধিগ্রহণের ২০ একর জমির মালিকানা দাবি করে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধকোটি টাকা কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে রেললাইনের অধিগ্রহণকৃত ২০ একর জমির মালিকানা দাবি করে প্রায় ৩০০ পরিবারকে নিয়মিত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ঝিলংজা ইউনিয়নের মকবুল সওদাগর পাড়া এলাকার আব্দুল করিমের পুত্র জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে ঝিলংজা ইউনিয়নের অসহায় কয়েকটি পরিবার। যাদের কাছ থেকে জসিম উদ্দিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ঝিলংজা ইউনিয়নে অধিগ্রহণকৃত জমিতে ২০ একর জমি একক মালিকানা দাবি করে প্রায় ৩০০ জনকে বিবাদী করে মামলার মাধ্যমে হয়রানি করছে জসিম উদ্দিন। প্রতিনিয়ত থামানো যাচ্ছে না এই জসিম উদ্দিনের প্রতারণা। সে বিভিন্ন সময় মামলা করে, তা আবার আপোষ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এভাবে তার প্রতারণার শেষ নেই। ঝিলংজা মৌজার এল এ মামলা ০৪/১৬-১৭ এর আলোকে বিগত ২০১৮ সালে কক্সবাজার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন জসিম উদ্দিন গং, মামলা নং ৯৩/২০১৮। এই মামলায় ৩১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় জমির পরিমাণ ১.০৯৪ একর। মামলায় উল্লেখিত ঝিলংজা মৌজায় আর এস ৫১১, ১৩৫৫, ১৫১৩, ১৩৫৬। বিএস ৬৪৫, ১৫৫৬, ৬৭, ১৯০, ৮৪১। পরবর্তীতে মামলা আপোষ দিয়ে জসিম উদ্দিন নিয়েছে ১০ লক্ষ টাকার অধিক। তিনি ২০১৮ সালে আরো একটি মামলা করেন। মামলা নং ২৩৩/২০১৮। মামলায় জমির পরিমাণ ১.০৯৪ একর। এ মামলায় বিগত ২৪/০৭/২০১৯ ইং তারিখে আপোষ দিয়ে নিয়েছেন ২৯,০০,০০০ টাকা (ঊনত্রিশ লক্ষ টাকা)। এছাড়াও ১১/১১/১৮ ইং তারিখে নিয়েছেন ১ লক্ষ টাকা। এভাবে করে আপোষ মূলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতিনিয়ত। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর এসে আবারও জমির একক মালিকানা দাবি করে মামলা করেন জসিম উদ্দিন। মামলা নং ১৩৫/২৩ । যেখানে বিবাদী করা হয়েছে ৩০০ জনকে। যার মধ্যে ২০ জনের অধিক মৃতব্যক্তি। উক্ত মামলায় জমির পরিমাণ ২০.০০ একর। এছাড়াও এ মামলায় নতুন করে অধিনস্ত করেছে ৫১টি আরএস খতিয়ান। এটি তার নতুন চাঁদাবাজির কৌশল। বর্তমান চলমান মামলায় নতুন করে আপোষ মূলে দাবি করছে আরো ৫০,০০,০০০ টাকা (৫০ লক্ষ টাকা)। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, পূর্বের দুইটি মামলায় (৯৩/২০১৮, ২৩৩/২০১৮) আপোষ দিলেও ২০২৩ সালের করা ১৩৫/২৩ নং মামলায় আবারো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আপোষ অস্বীকার করেছে জসিম উদ্দিন। এভাবে করে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধকোটি টাকা। প্রতারনার আশ্রয় নেওয়া জসিম উদ্দিন ১৯৪২ এর নিলাম খরিদ মূলে জমির মালিক দাবি করলেও প্রকৃত মালিক খাদিজা আক্তার উক্ত জমি বিক্রি করেছে বহুবছর পূর্বে। অসহায় পরিবার সমূহের পক্ষে ঝিলংজা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চাঁন্দের পাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মৌলভী সিরাজুল ইসলাম, মৃত মৌলভী ইসমাইলের পুত্র আজিজুর রহমান, শামসুল হুদা জানান, আমরা ঝিলংজা ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ শত পরিবারকে মামলার মাধ্যমে হয়রানি করছে জসিম উদ্দিন। নিজেকে সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। আমরা তার সুনির্দিষ্ট প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।