ফুটপাতে মুখরোচক খাবার হিসাবে বেশ সুনাম রাজধানী ঢাকার হালিমের। এই হালিম তৈরিতে ব্যবহার হয় পাঁচ প্রকার ডাল, তেল, গরুর মাংস। তবে সাভাবিকের তুলনায় দাম অনেকটাই কম। প্রতি কাপ হালিম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানী কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, যেখানে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজি গরুর মাংস সেখানে কিভাবে এত কম দামে হালিম বিক্রি করে? রাজধানীর হাজারিবাগ বেরীবাঁধ এলাকায় গরুর ফেলে দেওয়া অংশ রিসাইক্লিন করতে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কারখানা। রয়েছে রিসাইক্লিনের পরে ফেলে দেওয়া হাড়গোর সংগ্রহের জায়গাও। গরুর ফেলে দেওয়া অংশ রিসাইক্লিন করে বাছ ছাট করা উচ্ছিস্ট রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংগ্রহ করা হয়। এসব মাংস বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। যার মধ্যে থাকে মাংশ ছাড়া সব কিছুই। এই সমস্ত সস্তায় কেনা বাছ ছাট করা উচ্ছিস্ট মাংশকে ঘিরে রাজধানীর ধোলাইপাড় ডিপটি গলিতে গড়ে উঠেছে হালিম তৈরির কারখানা। আর এই হালিম ই চলে যায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে পথচারিদের জন্য সস্তায় বিক্রির উদ্দেশ্যে। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।মানহীন অস্বাস্থ্যকর এসব খাবারের বিষয়ে সরকারের কোন সংস্থার নেই তদারকি। সরকারের মনিটরিং সংস্থা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকের কাছে খাবারের মানের এসব বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ঢাকা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোছাঃ রৌশন আরা বগম বলেন, সঠিক তথ্যের অভাবে আটকে যায় তদারকি । তাই অনেক সময় আমাদের কিছুই করার থাকে না। তবে অভিযোগ অথবা সঠিক তথ্য আসলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন তিনি । সাধারণ কিছু পথচারী এসব খাবেরের বিষয়ে জানলেও তাদের অভিযোগ নিন্মমানের এসব খাবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না সরকারের কোন সংস্থা। অনেক ব্যবসায়ির অভিযোগ দেশে নিরাপদ খাদ্য আইন থাকলেও এর তেমন কোন প্রয়োগ নেই। আবার নৈতিকতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তাদের চাওয়া, এসবের বিরুদ্ধে দ্রুতই যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।