বিরলের ৬ নং ভান্ডারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন এর বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে ১৩ জুন বৃহষ্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দরখাস্ত জানিয়েছে ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা তাঁদেরকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে আশ^স্ত করেছেন। সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ অভিযোগে জানান, আমরা সকলেই বিরল থানাধীন ৬নং ভান্ডারা ইউনিয়নের ইউ,পি সদস্য ও সদস্যা হইতেছি। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন প্রতিমাসের মাসিক মিটিং সঠিকভাবে করেন না। তিনি আমাদের ইউ.পি সদস্য ও সদস্যার মাসিক সম্মানি ভাতা প্রদান করেন না এবং কোন মাসের মাসিক মিটিং করেন না। এমনকি মাসিক মিটিং এ আমাদেরকে অবহিত করেন না। ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ, ভি.ডব্লিউ.ডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, টি,আর কাবিখা এবং অন্যান্য সকল উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে উক্ত চেয়ারম্যান সাহেব এককভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই তাহার পছন্দীয় লোকদের মাঝে বিলি বন্টন করেন। আমরা নির্বাচিত ইউ.পি সদস্য/সদস্যা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের নিজস্ব এলাকার গরীব, দুস্থ ব্যক্তিদের কোন সাহায্য সহযোগীতা বা কোন কার্ড প্রদান করিতে পারি না। ইহাতে আমাদের এলাকায় আমাদের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হইতেছে। তাই আমরা ৬নং ভান্ডারা ইউনিয়নের ইউ,পি সদস্য ও সদস্যাগণ উক্ত চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য অনাস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছি। এমতাবস্থায় অত্র দরখাস্তের মাধ্যমে আপনার বরাবর লিখিত অনাস্থা জ্ঞাপন করিলাম। দরখাস্তে স্বাক্ষর করেন, সংরক্ষিত সদস্য মোছাঃ রাজিনা বেগম, কারিমা খাতুন, পূর্ণিমা রাণী, সাধারণ সদস্য- মোঃ সহিদুর রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ সামিদুর রহমান, মোঃ কলিম উদ্দীন, আনন্দ চন্দ্র রায়, যাত্রু মহন, মোঃ আতিউর রহমান। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন এর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।