আল আমিন হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের চাদপুর গ্রামে প্রতিবেশীর দেওয়া বিষে পেয়াজচাষির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। চাষি আব্দুল খালেক ৫ পাখি জমিতে রোপণের জন্য ১৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছিল। ৫ পাখি জমিতে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৩শ মণ। সেই পেঁয়াজ চাষির বীজ ক্ষেতে রাতের অন্ধকারে বিষ দিয়ে আব্দুল খালেকের স্বপ্নভঙ্গ করেছে এক প্রতিবেশী।উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের চাদপুর গ্রামের মৃত সেকেন প্রামাণিকের ছেলে কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ লাগানোর জন্য নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে ৪ কেজি পেঁয়াজের বীজ (দানা) বপন করেছিলেন। পেঁয়াজের দানা লাগানোর উপযোগী হয়েছিল। পেঁয়াজ লাগানোর জমিও প্রস্তুত করে ফেলেছিলাম। ৫ কেজি পেঁয়াজের দানা (হালি) বর্তমান বাজার মূল্যও প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। যা এক মুহুর্তেই শেষ করে দিয়েছে। কারো সন্দেহ হয় কি না এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, আমার জমির পাশে সালাম নামের একটি ব্যক্তি আছে তিনিই আমার এই জঘন্যতম ক্ষতি করেছে। এর আগে আমাকে সে ফসল ক্ষতি করার হুমকিও দিয়েছিল। সে ছাড়া এই কাজ কেউ করে নাই। আমি এই বিষয়ে পাংশা থানায় একটা অভিযোগও করেছি। পাংশা থানার এস আই কামাল সাহেব এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।কৃষক ইসলাম শেখ বলেন, বিষয়টি শুনতে পেরে এখানে এসেছি। যা দেখলাম তা একজন কৃষকের সারা বছরের পরিকল্পনার মৃত্যু ছাড়া কিছুই না। এমন ক্ষতি মানুষ করতে পারে না। এটা যারা করেছে তারা পশুর সমতুল্য। আমরা সাধারণ কৃষক এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করি।অভিযুক্ত সালাম খা বলেন, এটা সম্পূর্ণ আমার উপর মিথ্যা দোষ চাপিয়েছে। আমি কৃষি কাজ কিছু-দিন হলো শুরু করেছি। আমি জানি কৃষকদের ফসল কত কষ্ট করে ফলাতে হয়। আমার দ্বারা এই কাজ কখনো সম্ভব নাহ। আমার উপর তারা মিথ্যা এই দোষ কেন দিচ্ছে আমি বলতে পারছি নাহ। তার সাথে পূর্বের কোনো বিষয় নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল কি নাহ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার সাথে ওনার কোনো কিছু নিয়ে বিরোধ নেই। আমি ওনার মেয়ের বিয়েতেও অনেক দায়িত্ব পালন করেছি। এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, পেয়াজের দানা মারাতে আমি খুবই ব্যথিত হয়েছি এবং পাংশাবাসিকে আমি অনুরোধ জানাবো যে ফসলের সাথে শত্রুতা নাহ করুক। এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা, যার নষ্ট হয়েছে তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইতিমধ্যে এটা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নির্বাহী অফিসার বিষয়টি জানে। যেহেতু এটা ফৌজদারি অপরাধ। এই বিষয়ে তারা একজনের সাথে শত্রু তা করে আরেকজন দিছে। তারা থানায় রেগুলার মামলা করবে। এ বিষয়ে থানা থেকে আমাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে আমরা জানাবো।পাংশা থানা পুলিশ বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। কৃষি অফিসের লোকজন দেখে নিশ্চিত করলে আমরা তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নিব।