প্রতিবেদক: বাবুল মাহবুব
বরগুনার কথিত চিকিৎসক কামাল হোসেন(৫০) নামে একজনকে ব্যভিচার ও চুরি মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বরগুনা সদর ইউনিয়নের পাজ্রাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জনাব আলীর ছেলে এই কামাল হোসেন।
সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার নামে বিভিন্ন এলাকায় নারীদের ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে বিয়ে করাই এর মুখ্য কাজ। এ পর্যন্ত সে বারটি বিয়ে করেছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার বাদী ইব্রাহিম খলিল জানায়, তাবলীগ জামাত চার মাস চিল্লায় যাওয়ার মধ্যে ছোট ছেলের সুন্নতে খতনা করার জন্য তার স্ত্রী ওই ডাক্তারের কাছে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ পেয়ে স্ত্রীকে ফুসলিয়ে ক্রমান্বয়ে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে। প্রায় সময় ওই ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলতে দেখে ইব্রাহিম খলিল। এমনকি হাতে নাতে ধরা পড়েছে অনেকবার। ইব্রাহিম খলিলের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান আছে। কিছুদিন পর ভূতমারা নামক স্থানে এলাকাবাসী কামাল ও তার স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরে স্বামীকে খবর দেয়। গত (১৪)মে ইং তারিখ কাউকে না জানিয়ে স্বর্ণালংকার ও ৫০ হাজার টাকা সহ ছোট ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায় কামাল। নিরুপয় হয়ে ইব্রাহিম খলিল মামলা দায়ের করেন। (২৪)মে আদালত হাজির হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।