বিশেষ প্রতিনিধি:
মিনতি রাণী কুল রায় এর ওয়ারিশ ক্রমে স্থিত জায়গা তার পুত্র রুপন কান্তি রায় নামজারি খতিয়ান মূলে মালিক হওয়ার পর ও শম্ভু দত্ত ও অসীম চৌধুরীর পূর্বে (ফাল্গুনী মেডিকো) বর্তমান রিদিম মেডিকো নামক ঔষধের দোকান কয়েক বছর যাবত জোরপূর্বক দখল করিয়া তাদের অবৈধ ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য যে ইতিপূর্বে ১৯৯৮ সালে উক্ত দোকান শম্ভু দত্ত তৎকালিন মালিক মিনতি রাণী কুল(রুপন রায়ের মাতা) এর নিকট হয়তে চুক্তি মোতাবেক দোকানটি মাসিক ভাড়ায় নেয়। উক্ত চুক্তি পত্রে তারা কোন রুপ উপ-ভাড়াটিয়া দিবেন না মর্মে উল্লেখ থাকিলেও তিনি অসীম চৌধুরী নামীয় এক ব্যাক্তিকে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে দোকান উপ ভাড়া দেন। কিছুদিন অসীম ও সম্ভু কয়েকবছর ওই দোকানটির ভাড়া পরিশোধ করিয়া চলিয়া আসিতেছে। দূর্ভাগ্যক্রমে ২০২০ সালে মিনতি রাণী কুল রায় ও তার স্বামী নিরন্জন কুল উভয়ই পরলোকগমন করেন। এরপর হইতে শুরু হয় শম্ভু দত্ত আর অসীম চৌধুরীর কারসাজি। মিনতি রাণী কুল ও শম্ভু দত্তের পূর্বে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ না থাকিলেও শম্ভু দত্ত দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া না দিয়ে দোকান জোরপূর্বক দখলে রাখে। এ নিয়ে মিনতি রাণী কুলের ছেলে বর্তমান মালিক রুপন কান্তি রায় বারবার অনুরোধ করার পর ও তারা ভাড়া না দিয়া দোকান নিজেদের বলিয়া দাবি করিলে রুপন কান্তি রায় একটি প্রতারনা মামলা সি.আর ২৮৮৬/২০২২ দায়ের করেন। উক্ত মামলা আদালতে তদন্তাধীন থাকা কালীন প্রশাসনকে হাত করিয়া জাল দলিল সৃজন করিয়া তাহারা দোকান নিজেদের দাবী করিয়া উক্ত দোকান খানা দখলে রাখেন উল্টো মালিক পক্ষ তথা রুপন কান্তি রায় ও তার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়া উক্ত দোকান ও পুরো স্থাপনা জবরদখলের পাঁয়তারা করে। এ নিয়ে আদালতে রুপন কান্তি রায় আদালতে ফৌজ মিছ মামলা ১১০৪/২৩ দায়ের করেন। আদালতে মামলা শুননাীপূর্বক উক্ত সম্পত্তি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ১৪৫ আদেশ দেন এবং এ বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু তারা আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়াইয়া পুনরায় দোকান চালু রাখিয়া প্রভাব খাটিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় রুপন কান্তি রায় ও তার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দৈনিক ইনফো বাংলা, প্রশাসন ও সাংবাদিক ও অন্যান্য মহলের সহযোগীতা কামনা করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।