তারিকুল আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করেছে।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে ইবি রোডস্থ জেলা বিএনপি অফিসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।সকাল সাড়ে দশটার সময় পৌর ভাসানী মিলনায়তন সবুজ চত্বরে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।পরে সেখান থেকে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা বের হয় । বিজয় শোভাযাত্রাটি সিরাজগঞ্জের প্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যেয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের আহবায়ক হারুন অর রশিদ খান হাসান। সমাবেশ শেষে শহীদ মিনারের বেদীতে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রাতে পৌর ভাসানী মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ।প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল,নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, হারুন অর রশিদ খান হাসান,সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট ও মির্জা মোস্তফা জামান। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম খান।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয় পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে। দেশের অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে এ বিজয় ছিনিয়ে আনে। I ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। অধিকারহারা শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতার পর সর্বনাশা ফ্যাসিষ্ট গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার হরণ করে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জিসাস'র স্থানীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি অফিস এবং এর আশপাশের এলাকা আলোক সজ্জা করা হয়।