আল আমিন হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে নিজ পরিবারের বিরুদ্ধে হাফিজুর গং এর করা মিথ্যা ভিত্তিহীন মানববন্ধন ও সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার ইউপির কালিকাপুর গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন, হাফিজুরের ছোট চার ভাই, মা-বোন সহ পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে মৃত মনোয়ার হোসেন এর মেঝ ছেলে ওষুধ চিকিৎসক মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বড় ভাই হাফিজুর রহমানকে আমাদের দাদা সোয়া পাঁচ পাখি জমি দেন। সেই জমি আমাদের মা সহ আমরা চার ভাই বড় ভাই হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কিনে নেই। তবে রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। বেশ কিছুদিন আগে মা ও আমরা বড় ভাইকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে বললে সে নানা তালবাহানা করতে থাকে। এবং সেই জমি গোপনে অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানাযানি হবার পর আমরা এর প্রতিবাদ করলে পার্শ্ববর্তি কিছু মানুষের যোগসাযোশে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার এসকল কর্মকান্ডের কারনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি। পরে সে তাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া সহ নানা ভিত্তিহীন অভিযোগে গত ২ মে মানববন্ধন করে আমাদের উপর মিথ্যা দোষ চাপায়। সে আমাদের বড় ভাই, অনেক আগেই সে আমাদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। আমরা তাকে তাড়িয়ে দেইনি। মারধর করার তো প্রশ্নই ওঠে না। সেই আমাদের উপর অবিচার করছে এবং মিথ্যা দোষারোপ করছে। একই সাথে সে নিজে এবং তার সহযোগিদের দিয়ে আমাদেরকে নানাভাবে জীবন-নাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে। আমরা নিরাপত্বাহীনতায় ভূগছি।
হাফিজুরের বৃদ্ধ মা বলেন, হাফিজুর অন্যায় ভাবে আমার এবং আমার অন্য ছেলেদের জমি আত্বসাত করেছে। আমাকেও আঘাত করেছে। অথচ ওই মানববন্ধন করে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। হাফিজুরের বোন বলেন সে ও তার সহযোগীরা আমাকে মেরে আমার দাঁত ভেঙে দিয়েছে।
এ ঘটনায় পরিবারটি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হাফিজুর গংদের হাত থেকে পরিত্রান পেতে ও নিজেদের কেনা জমি ফেরত পাওয়া সহ সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনের কাছে আকুতি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী মফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মাসুদ হাসান খোকন, মো: রুবেল মন্ডল, মেয়ে চম্পা, স্ত্রী মরিয়ম বেগম সহ অন্যান্য আত্বিয় স্বজন।