কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হামজার জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় সাবরাং দারুল উলুম বড় মাদ্রাসার মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণির হাজারো মুসল্লির ঢল নামে। জানাজায় ইমামতি করেন,দারুল উলুম বড় মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নুর আহমদ। জেলার বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা এতে অংশ নেন।রবিবার নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হামজা কে দেখতে যান রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব আমির হামজারস্মৃতি চারণ করতে গিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিক মিয়া বলেন,১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার স্বপক্ষে তিনি নিজেকে আত্মত্যাগ করেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। এমনকি তার দু’টি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা। তিনি একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছিলেন।মরহুমের পুত্র ও সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, নুর হোসেন বিএ বলেন,জীবদ্দশায় আমার পিতা একজন পরোপকারী মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন,স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সাবরাং দারুল উলুম বড় মাদ্রাসাসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিক মিয়া,জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব জাফর আহমদ,টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি,সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব সোনা আলী,জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল বশর,সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মুর্শেদ,টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম বাহাদুর।বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল সিআইপি।টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ আবুল কালাম।হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ।জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ,জেলা বিএনপির সদস্য সোলতান আহমদ বিএ, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল ফয়সাল সুমনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।