সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রমজান মাসে সলপের ঘোলের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে। একশো বছরের বেশী বয়সী আঃ মালেক খান পরিচালিত ঘোল ও মাঠার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রমজান মাসের প্রথম থেকেই পাইকারী ও খুচরা মিলে দ্বিগুণ চাহিদায় প্রায় দেড়শো মন ঘোল বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ঘোল ৮০ টাকা আর একই দামে মাঠা বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় সলপের ঘোল ও মাঠা চাহিদা আর সুনামে বিক্রির জন্য যাচ্ছে। এদিকে সলপের ঘোল নয় অথচ সলপের ঘোল পরিচয় নামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ রেল ষ্টেশন এলাকায় সবচেয়ে পুরানো প্রায় ১০২ বছরের নামকরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সলপ ঘোল এন্ড সাদেক দই ঘর। এটি জাতীয় পুরুষ্কার পাওয়া একটি প্রতিষ্ঠান। সলপ রেল ষ্টেশন এলাকায় এখন বড় ছোটো মিলে বিভিন্ন নামে দশ থেকে বারোটি ঘোল ও দই ঘর আছে। চলমান রমজান মাসে সলপের মাঠা ও ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়েছে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে সলপ গিয়ে একাধিক ঘোল দোকানির সাথে কথা বলে জানা গেছে এমনিতেই সারা বছরই সলপের ঘোল ও মাঠা খদ্দেরদের চাহিদায় পাইকারী ও খুচরা কেনাবেচা হয়ে থাকে। এখন রমজান মাসে সলপের ঘোল ও মাঠার চাহিদা অনেক বেশী হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে পাইকারী ঘোল ও মাঠা কিনে নিয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই মোটর সাইকেল কিংবা নানা বাহনে সলপে এসে দু’চার কেজি করে ঘোল ও মাঠা কিনে বাড়ী নিয়ে যান। সিরাজগঞ্জের আব্দুর রহিম , কামারখন্দের উল্লাস ও তাড়াশের আকবর হোসেন বলেন সুনাম আছে জেনে সলপের ঘোল কিনে বাড়ী নিচ্ছেন বলে জানান। এদিকে রমজান মাসে উল্লাপাড়া উপজেলা সদরে ও বিভিন্ন গ্রামীণ বাজারে ইফতার সামগ্রীর পাশাপাশি অনেকেই সলপের ঘোল পরিচয়ে সাধারণ খদ্দেরদের কাছে ঘোল বিক্রি করছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে সলপের ঘোলের সুনাম আর চাহিদা আছে বলে কেউ কেউ সলপের ঘোল নয় অথচ সলপের ঘোল বলে সাধারণ খদ্দেরদের কাছে বিক্রি করছেন। উপজেলার সলপের প্রায় ১০২ বছর বয়সী ঐতিহ্যবাহী সলপ ঘোল এন্ড সাদেক দই ঘর প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিচালনা করছেন আঃ মালেক খান। প্রতিবেদককে তিনি বলেন তাদের প্রতিষ্ঠান অতীত সুনামের সাথে ব্যবসা আরো জমজমাট ভাবে করছেন। রমজানে ঘোল ও মাঠার চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানান। এখন ঘোল ও মাঠা মিলে প্রতিদিন পাইকারী ও খুচরা প্রায় দেড়শ মন বিক্রি হচ্ছে। তার প্রতিষ্ঠানের ঘোল চট্রগ্রামসহ দেশের আট থেকে দশটি জেলা ও উপজেলায় পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সরাসরি এসে ঘোল ও মাঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার নিজেরাও দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে জেলা শহরের দোকানীদের কাছে তাদের চাহিদার পরিমণ ঘোল ও মাঠা পাঠাচ্ছেন। তিনি সলপের ঘোল পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকার তৈরী ঘোল সাধারণ খদ্দেরদের কাছে বিক্রি করা ব্যবসায় এক ধরণের অপরাধ বলে জানান। যারা মিথ্যা পরিচয়ে এ কাজ করছেন তারা অপরাধের পাশাপাশি প্রতারণা করছেন। তিনি সলপের ঘোল ও মাঠাকে জি আই পণ্য স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আহবান জানিয়েছেন।