নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
আসন্ন কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ আলোচনায় রয়েছে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন। আসন্ন সম্মেলনকে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ত্যাগী, পরিশ্রমী, মেধাবী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে আনা। সেই হিসেবে এবারের সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।
শিক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানা ইতিবাচক কার্যক্রমে শুরু থেকে বিভিন্ন মহলে নজর কেড়েছিল কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে কাজ করত সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন। স্বাধীনতার চেতনায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধুদ্ধ করতে আয়োজন করছে নানান কর্মসূচি। এ ধরনের তৎপরতা প্রশংসিত হয়েছিল বিভিন্ন মহলে।
স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় কিছু বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেও ইতিহাসে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অনন্য। সেই ধারা ফেরানোর জন্য নানা পদক্ষেপ দেখা গিয়েছিল কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের মাঝে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে সমদিক পরিচিত। ছোট বেলা থেকেই পিতা মুজিবের ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, মরহুম কবির হোসেন সওদাগরের ও বড় ভাই শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি হয় তার। কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লেখান। বৃহত্তর বাংলা বাজার সাংগঠনিক ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ ইলিয়াছ মিয়া চৌং উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কক্সবাজার হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই সময়ে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ছাত্রলীগের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করেছিল। সবশেষে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিল। উক্ত দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ও পর থেকে ক্যাম্পাসকে স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষ শিবির মুক্ত করতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সুখে -দুঃখে পাশে থেকে তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে প্রাইভেট, ফরম ফিলাপের টাকা দান সহ দরিদ্র ফান্ড থেকে ও উপবৃত্তির টাকা নিয়ে দিতে সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত। তাছাড়া কলেজের জাতীয় দিবস , ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া, শিক্ষা সফরে তার ভূমিকা থাকে অতুলনীয়। কলেজের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর স্বাক্ষর সম্বলিত ফটক ভেঙে নতুন করে নির্মাণ ও শহীদ মিনার নির্মাণের দাবী আদায়ে তার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা ছাত্র শিবিরের লঘু নিজ হাতে ভেঙে কলেজ ক্যাম্পাসকে কলঙ্ক মুক্ত করেছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে জাতির জনকের ভার্স্কর্য নির্মাণ, একাডেমীক ভবনের নাম শেখ মুজিব ভবন নামে নামকরণ, নতুন মহিলা হোস্টোলের নাম শেখ হাসিনা মহিলা হোস্টেল নামে নামকরণের জন্য তিনিই প্রথম দাবী তুলেন যা বর্তমানে বাস্তবায়নের পথে। তাছাড়া কলেজ ছাত্রলীগের ইতিহাসে প্রথম জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণভোজের আয়োজন করে ইতিহাস সৃষ্টি করে। সকল জাতীয় দিবস পালন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রক্তদান কর্মসূচি ও ছাত্রলীগের সকল অনুষ্ঠান সফলতার সাথে পালন করে কলেজ ছাত্রলীগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও জেলা ছাত্রলীগের সবচেয়ে সেরা ইউনিটে স্বীকৃতি লাভ করেছিল তার নেতৃত্বধীন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে অতিতের তুলনায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে এসেছিল অনেক গুনগত পরিবর্তন। ক্লাস চলাকালে প্রতিষ্ঠানে ছিল না কোন মিছিল, ভর্তির জন্য নেই চাপাচাপি দেখা যেত না। বেতন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো, সময় মতো ফল প্রকাশ, কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করার জন্য ছাত্রলীগেরর কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক ভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছিল সাখাওয়াত হোসেন।
বিগত সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেইট সংলগ্ন নৌকার অফিস পুড়িয়ে দিয়েছিল স্থানীয় কিছু জামায়াত-শিবির- বি এন পি সন্ত্রাসীরা। এরই প্রতিবাদে সাখাওয়াত হোসেন ছিল বেশ জোরালো ভূমিকায়। কেউ যখন শিবিরের সন্ত্রাসীদের ভয়ে মামলা করার সাহস পাচ্ছিলনা তখন সাখাওয়াত হোসেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জামায়াত – শিবিরের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যার কারণে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে সাখাওয়াত হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। দীর্ঘ দুই মাস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আবারও পিতা মুজিবের আদর্শকে বুকে লালন করে আবারো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তার এই দীর্ঘ ছাত্র রাজনীতির ত্যাগ, শ্রম আর মেধার যথযথ মূল্যায়নের জন্য এবার কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এগিয়ে থাকবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন অনেকেই।
এই বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেনের সাথে কথা বললে জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক / সদস্য সচিব আমার জীবন বৃত্তান্ত পর্যালোচনা করে আমার দীর্ঘ ছাত্র রাজনীতির ত্যাগ ও শ্রমকে মূল্যায়ন করবে বলে আশা করি।