পবিত্র ঈদু-উল-ফিতর আসন্ন। কিছুদিন পর ঈদ। এর আগেই সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক পরিচয়ে ঈদ সেলামীর নামে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি করছে একদল মানবাধিকার কর্মী নামে ৪-৫জন যুবক।
ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের প্যাডে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি প্যাড তৈরী করে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলার ৮৩টি ইউপি চেয়ারম্যান, পছন্দের ইউপি সদস্য, দলিল লেখক সমিতি, বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ীর নিকট ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে এমন চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ বিভিন্ন দফতর থেকে ঈদ সেলামী নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মানবাধিকার কর্মী পরিচয়কৃত মো: ফেরদৌস হোসেন, ইয়ামিন হোসাইন নামে দুই ব্যক্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সিরাজগঞ্জ রিপোর্টস ক্লাব এর প্যাডে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে ঈদ কার্ড নিয়ে হাজির হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে। প্যাডে স্ট্যাম্পলার দিয়ে দুইজনের ভিজিটিং কার্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। কেউ যদি ঈদ সেলামী নামে কোন টাকা পয়সা প্রদান না করলে তার কু-কর্মের সংবাদ প্রকাশ করা হবে মর্মে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়ে থাকে।
কেউ কেউ ঈদ সেলামীও প্রদান করছে। আবার কেউ কেউ হাত কড়োজড় দিয়ে মাফও চাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, ৬জন ব্যক্তি একটি কার্ড খামের ভিতর নিয়ে আমার হাতে প্রদান করে। কিন্তু কার্ডটি হাতে গ্রহণ করি। গ্রহণ করার পর ৬জন ব্যক্তি ঈদ সেলামী নামে ৫ হাজার টাকা দাবী করে। তখন আমি তাদের বলি আমি কোন ঈদ সেলামী দিতে পারব না। তখন আমি চাউল চুরি করি মর্মে সংবাদ প্রকাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়।
স্বঘোষিত সিরাজগঞ্জ রিপোর্টাস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ইয়ামিন হোসাইন জানান, সামনে ঈদ ক্লাবের পক্ষ থেকে সকল চেয়ারম্যান, অফিস আদালতে শুভেচ্ছা কার্ড স্বশরীরে গিয়ে দিচ্ছি। এতে দোষের কি আছে। এখানে কোন চাঁদাদাবী করা হচ্ছে না।
স্বঘোষিত সিরাজগঞ্জ রিপোর্টাস ক্লাব এর সভাপতি ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমি মানবাধিকার কর্মী। তবে সাংবাদিকের প্যাডে কেন ঈদ শুভেচ্ছা প্রদান করা হচ্ছে মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন।
এদিকে এধরণের ঘটনার কারনে সিরাজগঞ্জের প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে সচেতন মহলে তৈরি হচ্ছে ভ্রান্ত ধারনা।