তারিকুল আলম, সিরাজগঞ্জ
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহন, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন, এবারে এই প্রতিপাদ্য নিয়ে – ৩২ তম আন্তর্জাতিক এবং ২৫ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্য – সিরাজগঞ্জে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংস্থা (ওপিডি) আয়োজনে ও এফসিডিও এবং ইউকে এইড এর সহযোগিতায়- রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে হতে বিকেল পর্যন্ত উক্ত দিবসটি সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা র্যালি প্রদর্শন ও বিদ্যালয় শ্রেণি কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটব পালন করে। এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা, স্থানীয় প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং শিয়ালকোল রঘুনাথপুর আলোর প্রদীপ প্রতিবন্ধী অধিকার সংস্থার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধীরা দিবস উদযাপন করে । এ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – সহকারী মনিটরিং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফারুক হোসেন, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফরিদ আহমেদ, ওপিডি,ইও এডিডি ইন্টারন্যাশনালের মোস্তাক আহমেদ, শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যা মোছাঃ রেহানা খাতুন সহ আরো অনেকে । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন – রঘুনাথ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাসান-উল- করিম এবং সঞ্চালনা করেন – এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ নাজমুল হোসাইন খান। এ সময়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন – শিয়ালকোল রঘুনাথপুর আলোর প্রদীপ প্রতিবন্ধী অধিকার সংস্থার সভাপতি মোঃ আল- আমিন সেখ, সাধারণ সম্পাদক আল- আমিন, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ হাসি খাতুন। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি এবং আলোচকগণ তাদের বক্তব্যে বলেন – শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষের প্রতি সহযোগিতা প্রদর্শনসহ তাদের কর্মকাণ্ডকে সম্মান জানাতে দিবসটি পালন করে আসছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্র্যেরই একটি রূপ, প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ প্রকৃতিগতভাবেই বিশেষ গুণসম্পন্ন হয়ে থাকেন। তাই তাদের সক্ষমতাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত করতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, সমন্বিত প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম, থেরাপি সেবা সহায়তা প্রদান, ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল স্রোতধারায় আনয়ন ও দেশের উন্নয়ন কার্যে সম্পৃক্ত করে তাদের জীবনমান উন্নয়ন, সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা, স্বার্থ সুরক্ষা এবং তাদের সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে গৃহীত এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করার পথ সুগম হবে।