তারিকুল আলম, সিরাজগঞ্জ :
বিগত কমিটি নামে মাত্র পকেট কমিটি দেখিয়ে গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী ও স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজসে অবৈধ ভোটার বানিয়ে চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরে শুরু হতে যাচ্ছিল সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রিড়া সংস্থার নির্বাচন। এর আগে (১৭ সেপ্টেম্বর) রোববার সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান এ বিষয়ে নির্বাচনি তফসিল ঘোষনা করেন।এ সময় অবৈধ ভোটার বাতিল চেয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ জাকির হোসেন। সেই সাথে সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ স্থগিত করার আবেদনের প্রেক্ষিতে জরুরী তদন্তপূর্বক জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জকে মতামত দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ মোকছেদ আলী।তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি পৃথক সংস্থা যার আলাদা কার্যনির্বাহী পরিষদ রয়েছে। অথচ ক্রীড়া পরিষদের নিয়ন্ত্রনাধীন জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাফিলিয়েশন ছাড়াই ফুটবলের ৯টি ও হ্যান্ডবল লীগের ৮টি ক্লাবকে তালিকায় এনে দ্বৈত ভোটার করে বিতর্ক তৈরী করেছিল বিগত কমিটি। সর্বশেষ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জেলা ক্রীড়া সংস্থার চার বছর মেয়াদি কমিটি হয়েছিল। যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী। বিগত কমিটির অধিনে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ লীগ আয়োজনে ব্যর্থ হওয়ায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে দ্বিতীয় বিভাগ হ্যান্ডবল ও প্রথম বিভাগ কাবাডি লীগ পরিচালনার উদ্যোগ নেন। রেজুলেশন করে খেলার সময়সূচী নির্ধারণ করা হলেও তৎকালীন কার্যকরী কমিটি নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যে কারণে ওই খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়নি। নিয়মিত খেলাধুলা পরিচালনা না করা, ভোটার বৃদ্ধিতে অনীহা ও বিগত কার্যকরী কমিটির উদ্যোগ না থাকার ফলে পর্যাপ্ত ভোটার করতে পারেনি। যে কারণে সদস্য বৃদ্ধিতে নিয়মনীতি অনুসরণ না করে ফুটবল ক্লাবের ৯জন ও হ্যান্ডবল ক্লাবের ৮জন প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।ব্যাংক হিসাব, কার্যনির্বাহী পরিষদ ও কাঠামোগত কোন অস্থিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্তের যাচাই বাছাই শেষে গত ২৫ অক্টোবর রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এর স্বাক্ষরিত একটি পত্রে অভিযুক্ত ১৭টি ক্লাবের এ্যাফিলিয়েশনের পক্ষে কোন যথাযথ তথ্য বা প্রমাণ না পাওয়ায় বাতিল করা হয়। সেই সাথে ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের আরোপিত সাময়িক স্থপিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুসরন করে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নির্বাচন সম্পন্ন করে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩তারিখে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) ড. মোঃ মোকছেদ আলী স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করার আদেশ দেন।