তারিকুল আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরের বারোয়ারি বটতলা মহল্লার নিজ বাড়িতে একই পরিবারের তিনজন কে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করা ঘটনায় ক্রাইমসিনে পৌঁচ্ছে সিআইডি ও পিবিআই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। সকাল ৮ টায় তারা নিহতের বাসায় উৎসুক জনতার প্রবেশ সংরক্ষিত করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ সহ বাসার ভাড়াটিয়া ও পরিবারের লোকজন কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার প্রাথমিক ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থলে অবস্থানরত উল্লাপাড়া সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত কুমার সূত্রধর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হত্যাকান্ডের শিকার ব্যক্তিরা হলেন কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার(৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)। নিহত বিকাশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের তাড়াশ উপজেলা শাাখার কোষাধ্যক্ষ ও তাড়াশ গোপাল জিউ বিগ্রহেরও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। নিহতের বড়ভাই প্রকাশ চন্দ্র সরকার তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি । তারা দুই ভাই পৃথকভাবে ওই বাসার ৩য় তলার আলাদা দুটি ফ্লাটের বসবাস করতেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার রাতে বিকাশ সরকার কে বাজারে দেখা গেছে। এরপর থেকে তাকে ও তার স্ত্রী মেয়ে কে স্বজনরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও না পেয়ে খোঁজাখোঁজি করেও না পেয়ে বাসায় গিয়ে তার ফ্লাটে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে ৩০ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাতে তারা পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ রাত ২ টায় বন্ধ ফ্লাটের তালা ভেঙে ভিতরে গিয়ে তাদের জবাই করা লাশ দেখতে পান। হত্যাকারীরা পরিকল্পিত তাদের কে হত্যা করে ফ্লাটে তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়।শনিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনো এক সময়ে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশের ধারনা। তাড়াশ থানার ওসি ( তদন্ত) মো: নূরে আলম বলেন, নিহতের স্বজনরা জানায়, তাদেরকে গত দুইদিন ধরে না পেয়ে স্বজনরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে তালা ঝোলানো দেখতে পেয়ে পুলিশ কে খবর দিলে, পুলিশ তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় তাদের কে কুপিয়ে ও জবাই হত্যা করা হয়েছে। সিআইডি ও পিবিআইয়ের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। ঘটস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিউল আলম ঘটনাস্থলে থেকে সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন।এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।