ফয়সাল রহমান জনি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আগামী ১১ জুন ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে গাইবান্ধা জেলা। ওইদিন এ প্রকল্পের আওতায় বাকী থাকা সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাকে ভূমিহীন- গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। তবে প্রাকৃতিক বা অন্য কোন বিশেষ কারণে অন্য কোন ব্যক্তি ভূমিহীন বা গৃহহীন হলে তাদেরকে দ্রুততার সাথে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।আজ (শনিবার, ৮ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার চার উপজেলায় জমিসহ নতুন পাকা ঘর পাচ্ছেন আরও ৪০৫টি পরিবার। সেইসঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে ২২৫টিসহ মোট ৬৩০টি পরিবারকে জমিসহ পাকা ঘর প্রদান করা হবে। এছাড়া সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হবে। এগুলো আগামী ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুায়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে সমাজের গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষেরা আগামী ১১ জুন ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপ) ১৮ হাজার ৫৬৬টি জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যায়ে (৫ম পর্যায়ে ২য় ধাপ) জেলার ৪টি উপজেলায় ৪০৫ টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে ২২৫টিসহ মোট ৬৩০টি পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাচ্ছেন জমিসহ পাকা ঘর। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন। ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরও জানান, ইতোমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধ সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তবে প্রাকৃতিক বা অন্য কোন বিশেষ কারণে অন্য কোন ব্যক্তি ভূমিহীন বা গৃহহীন হলে তাদেরকে দ্রুততার সাথে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মাঝে গাইবান্ধার সহকারী কমিশনার তাপস চক্রবর্তী তুষার ও গাইবান্ধা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া উপস্থিত ছিলেন।সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গাইবান্ধা জেলার ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ৮১৮৯টি। এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৮৪৬টি, ২য় পর্যায়ে ১৪৩০টি, ৩য় পর্যায়ের ২৪১৬টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১৮৭২টি ও ৫ম পর্যায়ে (১ম ধাপ) ১৫৪টিসহ সর্বমোট ৬৭১৮টি একক গৃহে ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য উপায়ে ব্যারাক ও গুচ্ছগ্রামে ১০৬৬টি ‘ক’ শ্রেণির পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।