পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ডের প্রথম বারের মতো চাষাবাদ করা হচ্ছে কন্দাল ফসল মাদ্রাজী জাতের ওলকচু , এতে অনাবাদি পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আসছে। আর স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা থাকায় লাভের আশা করছে কৃষক। ভালো ফসল উৎপাদনে কৃষককে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ।সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দেবীগঞ্জ উপজেলায় অধিকাংশ অবাদী জমিগুলো তে অংশ বিশেষ আলো-ছায়ায় ঘেরা ফলে শাক সবজি ও দানাদার ফসল উৎপাদন সম্ভব হয় না। এতে বছরের বেশির ভাগ সময় জমিগুলো অনাবাদি পড়ে থাকে। ফলে কৃষকরা ভালো ফসল উৎপাদন করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ পানি, মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাদ্রাজী জাতের ওলকচুর চাষ,, আওতায় দেবীগঞ্জ পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ডের নতুন বন্দর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক সহ একাধিক কৃষক কে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ওলকচু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। প্রথমবারেই কম খরচে স্বল্প সময়ে ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। এতে লাভের আশা করছেন কৃষক। পতিত জমিতে এমন ফলন দেখে আরো আগ্রহী হচ্ছে অন্য এলাকার কৃষকেরাও। কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় এ বছর প্রথমবার আমার ৪০ শতাংশ জমিতে ওলকচুর চাষ করেছি , আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। বাজারেও চাহিদা রয়েছে আশা করি ভালো লাভ হবে, তিনি আরও বলেন যেভাবে এই কন্দাল ফসল মাদ্রাজী জাতের ওলকচুর চাষ করে বর্তমান বাজারে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাভবান হওয়ার আশা করছি আমি,, ওই এলাকার আরেক কৃষক রসিদুল ইসলাম বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ওলকচুর চাষ করেছে। তিনি যদি ভালো লাভ পান, আগামী বছর আমার ও ওলকচুর চাষ করার ইচ্ছা আছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ বছর দেবীগঞ্জ পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ডের নতুন বন্দর এলাকায় ৪০ শতাংশ জমিতে মাদ্রাজী জাতের ওলকচুর চাষ আবাদ করা হয়েছে। এই সফল চাষের মাধ্যমে অনাবাদি পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আসছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় এই ফসলের চাষ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেবীগঞ্জ উপজেলার যে কোন অঞ্চলের কৃষক এই ফসল চাষ করতে চাইলে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে বলে জানান তিনি।