ঈদগাঁওতে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সময় ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী । ( ২৮ ফেব্রুয়ারি)বুধবার সকালে উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর শিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই দিন স্ত্রীসহ সাতজনের নামে ভুক্তভোগী সাদ্দাম বাদী হয়ে ঈদগাঁও থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদগাঁও উত্তর শিয়া পাড়া মৃত শামশুল আলমের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার সামিনা আক্তার আব্দু শুক্কুরের মেয়ে সামিনা আক্তারের। ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন পেশায় একজন ড্রাইভার। স্ত্রী সামিনা আক্তার একই এলাকার আয়ুব আলীর ছেলে বাবুর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি নিয়ে সাদ্দাম তার স্ত্রী সামিনাকে শাসন করেন এবং সামিনার বাবা-মাকে বিষয়টি জানানো হয়। এর পর বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক বার শালিসি বৈঠক হলেও বরা বরের মত থেকে যায় বাবু এবং সামিনার দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক। এ নিয়ে আবার পুনরায় জিজ্ঞেস করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে সাদ্দামের ঘরের সামনে এসে সামিন আক্তারের ভাই সাগর, সাজ্জাদ, সাহেদ, বদি আলম, রাহাত ও পরকিয়া প্রেমিক বাবু সহ বেশ কয়েক জন গাড়ি বহরে এসেহ ত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালাই। একপর্যায়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে অভিযুক্ত সাজ্জাদ সাদ্দামের পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা নিয়ে ফেলে শ্বাসরুদ্ব করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে কথা বল্লে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় পর্বতীতে স্থানীয় লোকজন তাকে রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমার সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি জানান এই বিষয়ে একটি এজাহার থানায় জমা দিয়েছে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সাগরের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ঈদগাঁও ও ঈদগড় সড়ক বন্ধ থাকায় বিকল্প রাস্তা দরগাহ পাড়া হতে ভোমরিয়াঘোনা জাওয়ার পথে উত্তর শিয়া পাড়া এলাকায় আমার গাড়ি থামিয়ে আমার উপড় মারধর করে এবং তিনি তার নামে করা অভিযোগ অশিকার করেন।