বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর ২০০১ ইং তারিখে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া এলাকায় বসবাসকারী ভিকটিমকে আসামী ইসমাইল হোসেন আজাদ তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে আসামী ইসমাইল হোসেন এর বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন; যার মামলা নং ১২, তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০১ খ্রি., ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)।
মামলা দায়েরের পর হতে বর্ণিত ধর্ষক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত আসামীর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নোয়াখালী, ২০০৩ সালের ১৬ জুলাই বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থানায় প্রেরন করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত আসামী তার নিজের নাম, পিতা মাতার নাম এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে খুলনা বাগেরহাটের ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করত: ২০০৪ সাল থেকে অদ্যবধি চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ০১ মে ২০২৩ ইং তারিখ ১৯০৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ইসমাইল হোসেন আজাদ (৪৩), পিতা- মৃত ইব্রাহিম, সাং- জাহাজমারা, থানা- হাতিয়া, জেলা- নোয়াখালীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১,০০,০০০/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে নিজের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে খুলনা বাগেরহাটের ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করে দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।