রিপোর্টার ,সমরেস রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা (ভারত)
আজ ২২শে নভেম্বর শুক্রবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, জঙ্গলমহল উদ্যোগ ও ই জি সি এফ এম হরটিকালচার ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট এর সহযোগিতায়, কলকাতার মোহরকুঞ্জে এবং সিধু কানু বীরসা মঞ্চে একটি সুন্দর শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হল তিন দিনব্যাপী ৮তম জাতীয় জঙ্গলমহল উৎসব ও জৈব উদ্ভিদ মেলা ২০২৪।
এই মেলার শুরুতেই জঙ্গলমহল সাংস্কৃতিক শাখা একটি সুন্দর গণ সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন, এই মঞ্চে চলবে তিনদিন ধরে, বিভিন্ন জেলার, বাউল গান, ভাটিয়ালি গান, ছৌ নৃত্য, নাটক, লোক গান, চপল ছপল ঘোড়ার নাচ, এবং স্কুলের ছেলে-মেয়েদের নৃত্য ও গান, জঙ্গলমহলের আলোচনা, এবং থাকছে মেলার স্টল, জঙ্গলমহলের কিছু খাদ্য সামগ্রী ও গাছপালার স্টল, বইয়ের স্টল।
আজ শুভ সূচনায় এবং শোভাযাত্রায় জঙ্গলবলের বিভিন্ন নৃত্য শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন এমনকি ছৌ নৃত্যের দল উপস্থিত ছিলেন, তার সাথে সাথে কলকাতার নৃত্য শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেছেন।
তিনদিনের এই মেলায় মঞ্চে উপস্থিত , মাননীয় শ্রীকান্ত মাহাত প্রতিমন্ত্রী ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ, মাননীয়া দোলা সেন সাংসদ, মাননীয় মদন মিত্র বিধায়ক ও চেয়ারম্যান পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম, মাননীয় দেবাশীষ কুমার মেয়র পরিষদ ,পার্ক , উদ্যান ,পার্কিং এবং বিজ্ঞাপন বিভাগ কলকাতা কর্পোরেশন, পূর্ণেন্দু বসু প্রাক্তন কৃষি ও শ্রম এবং কারিগরী মন্ত্রী, মাননীয় চন্দ্রনাথ সিনহা ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ক্ষুদ্র ও কুটির এবং মাঝারী শিল্প দপ্তর, মাননীয় উজ্জ্বল বিশ্বাস ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগ, মাননীয়া বীরবালা হাঁসদা স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং সঃ কর্মসংস্থান এবং বন ও ভোক্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। সুরজিৎ সেনগুপ্ত সভাপতি কেন্দ্র কমিটি, প্রিয়ব্রত বেরা সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্র কমিটি, রিতা চক্রবর্তী সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা কেন্দ্র কমিটি, গোপা চক্রবর্তী সমন্বয়কারী কেন্দ্র কমিটি, এছাও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এবং বিভিন্ন জেলার ছাত্রছাত্রীরা। মঞ্চে উপস্থিত সকলকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করলেন, তাদের মূল্যবান বক্তব্য জঙ্গলবহন নিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরলেন,
এই মেলায় প্রতিদিন থাকছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, এবং জঙ্গলমহলের মানুষের দুর্দশার কথা, তাদের জীবন যাপন,
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উঠে আসে , কিভাবে তারা এই অষ্টমতম জঙ্গলমহল উৎসব পালন করছেন, কেন করছেন এবং কিসের উদ্দেশ্য নিয়ে, তাহারা একটি ইনস্টিটিউট খুলেছেন বলে জানালেন, যেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন প্রতি ব্যাচে পড়াশোনা করে বিনা মূল্যে, শুধু তাই নয় তারা জানালেন আমরা যে এই জঙ্গলমহল উৎসব করি, আমাদের নিজেদের যত্সামান্য পয়সা দিয়ে , এখনো পর্যন্ত তারা গভমেন্টের কোন অনুদান পাননি, তাহারা আরো বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছেন, তার মধ্যে আর একটি কথা তুললেন, যে সকল আসামীরা দোষী সাব্যস্ত হয়ে, জেলের মধ্যে আবদ্ধ রয়েছেন বিনা বিচারে বছরের পর বছর, কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে রয়েছেন, তাদের পাশেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন এবং তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে, তাহারা বলেন সবাই দোষী তা নয় ,অনেককে দোষী সাজানো হয়েছে, তারাও কিছু মূল্যের বিনিময় হয়তো এই সাজা পেতে হচ্ছে, এছাড়াও বলেন আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে যাই এবং সেখানে মানুষের দুর্দশার কথা জানতে পারি, যেখানে চার চাকার গাড়ি ঢোকে না, যেখানে মন্ত্রীরা যেতে পারেন না, সেই সকল মানুষের দুর্দশার কথা ,তাদের জীবন যাপন আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করি। এমনকি গ্রামগঞ্জে অনেক ভালো কবি ও সাহিত্যিক রয়েছেন যাদের বই প্রকাশ পেলেও সেই বই সবার সামনে উঠে আসে না, অচিরেই রয়ে যায়। আমরা এই মেলার মাধ্যমে তাদের বইগুলি প্রচার করার চেষ্টা করছি।। সবার সহযোগিতায় দেখতে দেখতে আমরা অষ্টম তম মেলার আয়োজন করেছি। তাই সকলকে আমাদের তরফ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। সবাই আমাদের পাশে থাকুন, জঙ্গলমহলের মানুষদের পাশে থাকুন, এটুকুই আমাদের কামনা করি, তাই জঙ্গলমহলের মানুষদের নিয়ে এই কর্মকাণ্ডে মেতেছি।