রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। তাঁর জায়গায় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন মনিরুজ্জামান মনির হোসেন নামে এক ইউপি সদস্য, যিনি এক সময় রাজাপুর উপজেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।
বর্তমানে তিনি রাজাপুর উপজেলা বিএনপির নেতাদের আর্শীবাদে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির এক অংশ মনির মেম্বারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বসানোর জন্য বড় অংকের লেনদেন করেছে।
মনির মেম্বার ইউনিয়নের অন্য আটজন ইউপি সদস্যকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের মতো রেজুলেশন তৈরি করে তাঁদের স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, মনির মেম্বার একজন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের সহযোগী। তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমান চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার দলমত নির্বিশেষে সফলভাবে ইউনিয়নবাসীকে সেবা দিয়েছেন, যা সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত।
কয়েকজন ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যদি বিউটি সিকদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসন যেন একজন প্রশাসক নিয়োগ দেন। অন্যথায় মনির মেম্বারের মতো বিতর্কিত ব্যক্তির নেতৃত্বে ইউনিয়নবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
এ বিষয়ে মনির মেম্বারের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন:
বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকলেও ক্ষমতার পালাবদলকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি নিয়ে কী পদক্ষেপ নেবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।