রিয়াজ উদ্দীন রিয়াদের কক্সবাজার,
ঈদগাঁতে বন্যায় প্লাবিত কয়েক হাজার পরিবার। বন্যায় ৪ ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন ঈদগাঁওর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট, বীজতলা, সবজি ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার হাজার পরিবার। রবিবার ৬ই আগস্ট, সরেজমিনে বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
ঈদগাঁওর নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে , ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়া ঘোনা ও পাল পাড়া, চৌধুরী পাড়া, ঈদগাঁও বাজার এবং জালালাবাদ ইউনিয়নের লরাবাগ, কামার পাড়া, সাওদাগার পাড়া ও পোকখালী ইউনিয়নের ও ইসলামাবাদ খুদাইবাড়ী সহ আরো কয়েকটি এলাকা।
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ঈদগাঁও নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩-৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানির চাপে জালালাবাদ এলাকার একটি বাঁধ ভেঙে পুর্ব লরাবাগ ও দক্ষিণ লরাবাগ গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পাহাড়ি ঢলে নস্ট হয়ে যাবে জেগে ওঠা ধান ও নানান জাতের সবজি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করত এই এলাকার মানুষ। অনেকেই গবাদি পশু পালন ও মাছ চাষ করেও সংসারের চাকা সচল রেখেছেন। সকাল থেকে থেমে থেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ভোমোরিয়াঘোনা চাষিদের উঠতি ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে যায়। ভেসে যায় শত শত পুকুরের মাছ।চরাঞ্চলের সব থেকে লাভবান ফসল , এ বছর বন্যায় ডুবে যাওয়ায় ঘরে তুলতে পারেননি চাষিরা।
ফলে চাষের খরচ তোলা নিয়েও শঙ্কায় চাষিরা। সবজি ক্ষেতেও একই অবস্থা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তাতেও অঙ্কুরোদগম ঘটছে।
পানি বন্দী শত শত পরিবার সারারাত আতংকে থাকার পর সকাল দুপুর পর্যন্ত কোন খাবারের দেখা মিলেনি, রাতেও তাদের কপালে শুকনো খাবার জুটবে কিনা সন্দেহ,
এদিকে শিশু ও বৃদ্ধ্য ও অসুস্থতরা বেশি সমস্যায় পড়েছে এই বন্যায় তাদের কাছে পৌছায়নি বিশুদ্ধ পানি ঔষধ ও শুকনো খাবার,