আজ ২২শে অক্টোবর মঙ্গলবার, কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা, কালী প্রতিমা তৈরি করতে ব্যাস্ত। একদিকে চলছে যেমন প্রতিমার খর বাঁধা ও মাটি দেওয়ার কাজ, আবার কিছু কিছু মৃৎশিল্পী প্রতিমায় রং করায় ব্যাস্ত, কারণ মাঝে আর কয়েকটা দিন বাকী, তারপরেই জ্বলে উঠবে আলোর রসনায়, বাজীর রসনায়, বাড়িতে বাড়িতে মোমবাতিও প্রদীপের আলো, আর কয়েকদিন বাদেয় প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার পালা। তাই শিল্পীদের কথা বলার মত হাতে সময় নাই, তাহারা জানান অন্যান্য বারের থেকে এবারে আমাদের প্রতিমা দূর দূরান্ত থেকে অর্ডার এসেছে। করোণা কালে যারা পুজো বন্ধ করে দিয়েছিল, তারাও এবারে এসে প্রতিমা অর্ডার দিয়ে গেছে। এবারে আমাদের প্রতিমা, কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগনা দক্ষিণ 24 পরগনা ছাড়াও, বিহার ,জলপাইগুড়ি, ঝাড়খন্ড, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ি, মালদা, আসাম, দিল্লি সমস্ত জায়গা থেকে প্রতিমা অর্ডার দিয়ে গেছে।, তাই সময় মত আমাদের প্রতিমার কাজ শেষ করতে হবে, কারণ উদ্যোক্তারা ২৫ তারিখের পর থেকেই নিতে আসবেন বলে জানিয়েছেন। কুমারটুলি পাড়ায় গেলে চোখে পড়ে ভিন্ন রূপে মায়ের মূর্তি। এবং শিল্পীরা মায়ের চোখ আঁকতে শুরু করেছেন, মৃৎশিল্পীরা জানালেন এবার একটু প্রতিমা বেশি অর্ডার পেয়ে আমরা খুশি।, আমরা এবারে হাজার বারোশো টাকা থেকে শুরু করে তার ঊর্ধ্বে প্রতিমা তৈরি করেছি। এছাড়াও যে যেমন দামের প্রতিমা অর্ডার দিয়ে গেছে। এইগুলো তো আছেই।আবার অন্যদিকে চোখে পড়ে, মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন রকমের পোড়ামাটির প্রদীপের পসরা নিয়ে বসে কুমারটুলি পাড়ায়, তাহারা জানান আগে থেকে না বসলে, এই সকল প্রদীপ ক্রেতারা কিনে দূর দূরান্তে নিয়ে যায় ,সেখানে বিক্রি করার জন্য। আমরা এখানে হোলসেল করে থাকি, এই প্রদীপ নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় বাজারে ও দোকানে বিক্রি করে।, তাই আমাদের কয়েকদিন আগে থেকে বসতে হয় এবং বিভিন্ন দামের প্রদীপ রয়েছে, সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করা। বিক্রেতারা জানালেন ২ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত প্রদীপ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন রংয়ের মোমের প্রদীপও রয়েছে বলে জানান। কুমারটুলি পাড়ায় ঢুকলে মনে হয় একটা আলাদা অনুভূতির সৃষ্টি হয়, আর পুজো আসছে আসছে তার গন্ধও পাওয়া যায়।