বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১শতাংশ সমর্থন তালিকা জমা প্রদানের মাধ্যমে প্রার্থীর মনোনয়ন যোগ্য বলে গৃহীত হবে বলে জানান ইসি।নড়াইল ২ আসনে স্বতন্ত্র থেকে লায়ন নুর ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আপিল করতে আসেন নড়াইল-২ আসনের মিডিয়া কোটার দাবি নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলাম। হাই কোর্টে নূর ইসলাম তার বিজ্ঞ আইনজীবী কামাল হোসেন ও সাংবাদিক সংস্থার সাংবাদিক নেতাদের সাথে আলাপচারিতায় বলেন- আমি লায়ন নূর ইসলাম নড়াইল ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। আমার মনোনয়ন পত্র বাতিল হলো শুধুমাত্র এক পার্সেন্ট ভোটার তালিকা ত্রুটি থাকার জন্য।একটি বিষয় হলো গত ২৬ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমগ্র বাংলাদেশে নৌকার মনোনয়ন প্রার্থী যারা রয়েছি তাদের ডেকে পাঠালেন গণভবনে। ২৬ তারিখ গণভবনেই সারাটা দিন চলে গেল সবার। প্রার্থীরা যারা নমিনেশন পেল না তাদের উদ্যেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দলীয় প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোন বাধা নেই। এজন্যই প্রত্যেটা প্রার্থী চলে গেল নিজ এলাকায় ২৭ তারিখে। ২৭ তারিখও চলে গেল নিজ এলাকায় যেতে,এদিকে মনোনয়ন জমা প্রদানের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর,হাতে রইলো মাত্র ২ দিন।এবার কথা হলো, একজন প্রার্থীর ২ দিন সময়ের মধ্যে ৪ থেকে ৫ হাজার সমর্থন সাক্ষর বৈধ ভাবে সংগ্রহ করা কোনো প্রকারেই সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি।আর এই সল্প সময়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রদান করায় সামান্য ত্রুটি থাকাটাই স্বাভাবিক। এদিকে নূর ইসলামের বিজ্ঞ আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন -১৯৭২ সালের গৃহীত আইনে ওয়ান পার্সেন্ট বলে কিছুই ছিল না, তবে ২০০৮ সালে প্রস্তাবিত সংশোধনীয় আইনে এটা বহাল হয়।তবে আমি মনে করি ওয়ান পার্সেন্ট বিষয়টি অযৌক্তিক ও হয়রানি মূলক।এ আইনটি সংবিধানের সঙ্গেও সাংঘর্শিক।